ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ছবি— পিটিআই।
সোমবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সেরেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার ঠিক পরেই সরাসরি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য এল সে দেশের বিদেশ সচিবের মুখ থেকে। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বললেন, ‘‘ভারতে ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার উপর আমাদের নজর রয়েছে।’’
সোমবার ভারত-আমেরিকা যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ব্লিঙ্কেনের পাশাপাশি হাজির ছিলেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেখানেই এ কথা বলেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিয়মিত এই প্রসঙ্গে মত বিনিময় করছি। পাশাপাশি ইদানীং ভারতে কিছু সরকারি, পুলিশ এবং জেল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগের উপরও আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে।’’
তবে কোন ঘটনার কথা তিনি বলছেন, তা খোলসা করেননি আমেরিকার বিদেশ সচিব। পরবর্তীতে অবশ্য জয়শঙ্কর বা রাজনাথের বক্তব্যেও এই প্রসঙ্গ আসেনি।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জনপ্রতিনিধি ইলহান ওমর, ভারতের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু বিদ্বেষের অভিযোগ আনেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারতের মুসলমান জনসংখ্যার জন্য মোদী এমন কী করেছেন, যার জন্য আমরা ভারতকে দুনিয়া জুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার অভিযানে আমেরিকার সঙ্গী ভাবতে পারি?’’ তার ঠিক পরেই ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবারই প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে আরও বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রসঙ্গও এসেছে। সেখানে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরোপ এক সন্ধ্যায় রাশিয়া থেকে যত তেল আমদানি করে, ভারত সারা মাসেও সেই পরিমাণ আমদানি করে না। তাই আমেরিকার উচিত ইউরোপের দিকে তাকানো।