সাব-ইনস্পেক্টরদের (আর্মড ব্রাঞ্চ) তদন্ত করার ক্ষমতা দিতে চাইছে ভবানী ভবন। —ফাইল চিত্র।
বাহিনীতে তদন্তকারী অফিসারের ঘাটতি মেটাতে রাজ্য পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টরদের (আর্মড ব্রাঞ্চ) তদন্ত করার ক্ষমতা দিতে চাইছে ভবানী ভবন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। পুরো বিষয়টি পরিকল্পনার স্তরে থাকলেও সাব-ইনস্পেক্টর (আর্মড ব্রাঞ্চ) হিসাবে কর্মরত কোন কোন অফিসার তদন্তকারী অফিসার হতে ইচ্ছুক, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁদের ১৬ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ওই আবেদনে সংশ্লিষ্ট অফিসার কোন জেলায় কর্মরত, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অতীত অপরাধের অভিযোগ আছে কিনা, সেই সম্পর্কিত তথ্য-সহ আরও নানা বিষয় জানাতে হবে। এর জন্য ভবানী ভবনের তরফে একটি নির্দিষ্ট ফর্মও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০২১ সালের আগে যাঁরা সাব-ইনস্পেক্টর (আর্মড ব্রাঞ্চ) হিসাবে বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, আবেদন মঞ্জুর হলে কলকাতা পুলিশের মতো রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রেও প্রতিটি থানায় তদন্তকারী অফিসার হিসাবে এক জন করে সাব-ইনস্পেক্টর (আর্মড ব্রাঞ্চ) থাকবেন। বর্তমানে রাজ্য পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টরদের দু’টি ভাগ। এক দল সাব-ইনস্পেক্টর ‘আনআর্মড ব্রাঞ্চ’-এর। যাঁরা থানায় বা বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় কর্মরত। যে কোনও ঘটনার তদন্ত করতে পারেন তাঁরা। আর এক দল সাব-ইনস্পেক্টর ‘আর্মড ব্রাঞ্চ’-এর। তাঁরা বিভিন্ন ব্যাটালিয়নে যুক্ত থাকেন। জেলায় জেলায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থা সামলানোর কাজ করেন তাঁরা। তবে, তদন্ত করার কোনও অধিকার বা ক্ষমতা এই অফিসারদের নেই।
উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের বর্তমান ডিজি রাজীব কুমার কলকাতার নগরপাল থাকাকালীন কলকাতা পুলিশের নন-ইনভেস্টিগেটিং ক্যাডার, অর্থাৎ সার্জেন্টদের তদন্তের অধিকার দিয়েছিলেন। যাঁরা এখন তদন্তকারী অফিসার হিসাবে বিভিন্ন থানায় ও গোয়েন্দা বাহিনীতে কর্মরত।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে ইচ্ছুক সাব-ইনস্পেক্টরদের (আর্মড ব্রাঞ্চ) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে তাঁদের তদন্তের বিভিন্ন দিক যেমন শেখানো হবে, তেমনই দেওয়া হবে আইনের পাঠ। প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন থানায় তাঁদের তদন্তকারী অফিসার হিসাবে পাঠানো হবে।