বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। চার দিক থেকে ইউক্রেনকে ঘিরে হামলা চালায় রুশ সেনারা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বার বারই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইউক্রেন সেনা অস্ত্র সংবরণ না করলে সামরিক অভিযান জারি থাকবে।
ফাইল চিত্র।
২০২১-এর অগস্ট। মাসখানেক ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অবশেষে তালিবানের হাতে পতন হল কাবুলের। বন্দুকের সামনে দাঁড় করিয়ে গোটা আফগানিস্তানকে নিজেদের কব্জায় নিয়েছিল তালিবান। সেই তালিবানই এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে শুধু চিন্তিতই নয়, দু’দেশকে আহ্বান জানাচ্ছে সংযমী হওয়ার!
যে গোষ্ঠী খুন, হানাহানি, সংঘর্ষে বিশ্বাসী, সেই তালিবানের মুখেই রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে ‘শান্তির বার্তা’ যেন চরম পরিহাসের মতোই ঠেকছে। তালিবান সরকারের তরফে এ নিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘দ্য ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তান ইউক্রেনের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাই দু’পক্ষকেই আবেদন জানাচ্ছি আপনারা সংযত হন। হিংসা যাতে আর না বাড়ে সে দিকে নজর দিন।’ ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘দ্য ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তান দু’পক্ষকেই আলোচনা এবং শান্তিপূর্ণ পথে সমাধান খোঁজার আর্জি জানাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। চার দিক থেকে ইউক্রেনকে ঘিরে হামলা চালায় রুশ সেনারা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বার বারই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইউক্রেন সেনা অস্ত্র সংবরণ না করলে সামরিক অভিযান জারি থাকবে। ইউক্রেনের রাজধানী কিভ দখলের জন্য শুক্রবারই শহরের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে রুশ সেনা। সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়ে ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়াকে ঠেকানোর জন্য আন্তর্জাতিক মহল থেকে বার বার বার্তা দেওয়া হয় পুতিনকে। অবশেষে সামরিক অভিযানের দ্বিতীয় দিনে পুতিন জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি তারা। চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-কে ফোন করে এমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন পুতিন। চিনের বিদেশ মন্ত্রক থেকে বিবৃতি জারি করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
কিন্তু আদৌ কি সমস্যার সমাধান হবে, এখন সেটাই দেখার।