সিরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ২০১৫-য় সিরিয়ায় জঙ্গি নিধনে রাশিয়া যথেষ্ট সাহায্য করেছিল প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদকে। তাই এই যুদ্ধে এ বার রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে চাইছে সিরিয়ার বাহিনী।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত সিরিয়ার সেনা। ছবি: এএফপি।
চেচেনদের পর এ বার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে ঝাঁপাতে চাইছে সিরিয়া। আধাসামরিক বাহিনীতে কর্মরত সিরিয়ার বেশ কিছু যোদ্ধা দাবি করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত তাঁরা। শুধু নির্দেশের অপেক্ষা।
সিরিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সেস (এনডিএফ)-এর কমান্ডার নাবিল আবদুল্লা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সিরিয়াতে যখন যুদ্ধ চলছিল সে সময় মফস্সল এবং গ্রামীণ এলাকায় কী ভাবে যুদ্ধ করতে হয়, সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। আর সেই অভিজ্ঞতাই এ বার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে প্রস্তুত তিনি।
নাবিল বলেন, “সিরিয়া এবং রাশিয়ার শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। সবুজ সঙ্কেত দিলেই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব।” ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে মোতায়েন করেছে রাশিয়া। নাবিল আরও বলেন, “আমরা এই যুদ্ধে ভয় পাই না। শুধু যোগদানের অনুমতি এলেই ইউক্রেনকে টের পাইয়ে দেব যুদ্ধ কাকে বলে। সিরিয়াকে জঙ্গিমুক্ত করতে যে কৌশল নিয়ে সাফল্য পেয়েছি, সেই কৌশলকেই কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনীয়দের দেখিয়ে দেব, যা ওঁরা জীবনে দেখেননি।”
সিরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ২০১৫-য় সিরিয়ায় জঙ্গি নিধনে রাশিয়া যথেষ্ট সাহায্য করেছিল প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদকে। তাই এই যুদ্ধে এ বার রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে চাইছে সিরিয়ার বাহিনী।
এনডিএফ-এর অন্য এক কমান্ডার, সাইমন ওয়াকিল আবার বলেছেন, “রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিতে সিরিয়ার বহু মানুষ প্রস্তুত। কিন্তু আমরা এখনও কোনও নির্দেশ পাচ্ছি না। রাশিয়া আমাদের বন্ধু দেশ। ওদের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আমরা লড়াই করতে চাই।”
রুশ সেনাদের পাশে দাঁড়াতে কয়েক দিন আগেই এক হাজার চেচেন সেনা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ বৃহস্পতিবার নেটমাধ্যমে বলেন, ‘‘চেচেন প্রজাতন্ত্রের এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক ইউক্রেনকে নাৎসিবাদী এবং সেনাবাদী চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত করতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে।’’