আজোভ সাগরের তীরবর্তী মারিয়ুপোল ইউক্রেনের অন্যতম বন্দর শহর। সেখানেই নিজেদের কব্জা আরও শক্ত করছে মস্কো। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে চার দিক থেকে চলছে লাগাতার আক্রমণ। ক’দিন আগেই বন্দর শহরের একটি প্রেক্ষাগৃহে বোমা ফেলে রাশিয়া।
টুইটার থেকে নেওয়া।
বন্দর শহর মারিয়ুপোলকে চার দিক থেকে ঘিরে আক্রমণ জারি রেখেছে রাশিয়া। ক’দিন আগেই মারিয়ুপোলের একটি প্রেক্ষাগৃহে বোমা ফেলে রাশিয়ার বোমারু বিমান। রবিবার রুশ বোমা নিশানা করল বন্দর শহরের একটি আঁকা শেখানোর স্কুলকে। ঘটনাচক্রে সেখানেই আশ্রয় নিয়েছিলেন ৪০০ জন। কী অবস্থা তাঁদের? জানা যায়নি এখনও।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের অভিঘাত যত বাড়ছে, ততই তার মাসুল গুনছে সাধারণ মানুষ। রবিবার মারিয়ুপোলের একটি আঁকা শেখার স্কুলে রাশিয়ার বোমা ফেলা এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহেও তারই সমর্থন। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, রবিবার রাশিয়ার বোমারু বিমান মারিয়ুপোলের একটি আঁকা শেখার স্কুলে বোমা ফেলে। সেই স্কুলেই আশ্রয় নিয়েছিলেন অন্তত ৪০০ জন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে স্কুল ভবনটি ক্ষতবিক্ষত। ধ্বংসস্তূপের তলায় কত জন চাপা পড়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, আজোভ সাগরের তীরবর্তী মারিয়ুপোল ইউক্রেনের অন্যতম বন্দর শহর। সেখানেই নিজেদের কব্জা আরও মজবুত করছে মস্কো। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে চার দিক থেকে ঘিরে ধরে চলছে লাগাতার আক্রমণ। ক’দিন আগেই বন্দর শহরের একটি প্রেক্ষাগৃহে বোমা ফেলে রাশিয়া। বহু মানুষ প্রেক্ষাগৃহের তলায় চাপা পড়েন। বুধবার শতাধিক মানুষকে ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে উদ্ধার করা গেলেও, এখনও সেখানে কত মানুষ আটকে রয়েছেন, তা অজানা। এরই মধ্যে রবিবার পুতিনের বোমারু বিমান নিশানা করল আঁকার স্কুলকে। সেখানেও প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন অন্তত ৪০০ জন। তারা সুরক্ষিত আছেন তো? উত্তর নেই।
রবিবার রাশিয়ার হামলা ২৫তম দিনে পড়ল। তীব্রতা কমার কোনও লক্ষণ নেই, উল্টে তা বেড়ে চলেছে চক্রবৃদ্ধি হারে। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘‘মারিয়ুপোলকে এ ভাবে অবরুদ্ধ করে রাশিয়ার এক তরফা হামলা বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম জঘন্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে নথিভুক্ত হবে।’’