রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিভ। ছবি: রয়টার্স।
যুদ্ধের ৩০৯তম দিনে রাজধানী কিভ-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল রাশিয়া। ইউক্রেন সেনার একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাত থেকে শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ ফৌজ। প্রবল শীত আর তুষারপাতের মধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কিভ-সহ বিভিন্ন শহরের বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ ব্যবস্থা।
রাজধানী কিভের পাশাপাশি ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর জ়াপোরিজিয়া এবং দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলে রুশ বাহিনী ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের দাবি। ইউক্রেনের দাবি, রাজধানী লক্ষ্য করে ছোড়া ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশপথে ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির তরফে যুদ্ধ থামানোর জন্য যে ১০ দফার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, রাশিয়ার বিদেশ সচিব সের্গেই লাভরভ তা নাকচ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি কয়েক মাস আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, শীতের মরসুমে নতুন করে বিধ্বংসী হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। দেশবাসীর উদ্দেশে এক বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় আমাদের সকলকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’’ পাশাপাশি, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় গৃহহীন ইউক্রেনীয় নাগরিকদের জন্য আশ্রয় শিবির খোলার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
এর পর চলতি মাসে ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়, শীতের মধ্যেই কিভ দখলের লক্ষ্যে নতুন প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রায় ২ লক্ষ রুশ ফৌজ। সেই বাহিনীতে রয়েছে বাছাই করা বেশ কিছু গোলন্দাজ, ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া ব্যাটেলিয়ন। ইউক্রেন সেনার জেনারেল ভ্যালেরি জ়ালুঝনি একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে এই ‘তথ্য’ দেন। বৃহস্পতিবার অবশ্য লাভরভ জানান, আমেরিকা ও ইউরোপের অস্ত্র সরবরাহ আটকাতেই ইউক্রেনে হামলার তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে।