রকেট হামলায় অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার হামলায় এখনও পর্যন্ত ১১২টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের আরও দাবি, যুদ্ধ করতে এসে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ৪০০ জন রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। ১৪৭০টি সাঁজোয়া গাড়ি ও ৪৬৬টি রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে।
টুইটার থেকে নেওয়া।
আরও বিধ্বংসী দিকে মোড় নিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পশ্চিম ইউক্রেনে আগেই ক্ষেপণাস্ত্র হানা শুরু করেছিল রাশিয়া। এ বার ওই এলাকা জুড়ে শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী (হাইপারসনিক) ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা শুরু করল পুতিনের দেশ। রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনে মাটির তলায় লুকিয়ে রাখা অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করতেই কিঞ্ঝল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
যুদ্ধের ২৪তম দিনে রাশিয়া এই মারণাস্ত্র ব্যবহার করল। সূত্রের খবর, পশ্চিম ইউক্রেনের ইভানো-ফ্রাঙ্কিভক্স এলাকার ডেলইয়াটিনের সামরিক অস্ত্রগারে এই বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ভূগর্ভের ওই অস্ত্রাগারে মূলত ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু বিমানের যন্ত্রাংশ রাখা থাকত। অন্য দিকে ইউক্রেনের মূল জাহাজ নির্মাণকেন্দ্র কৃষ্ণ সাগরের ধারে মাইকোলাইভেও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, রাশিয়া ভ্যাকুয়াম বোমারও ব্যবহার করেছে।
রুশ রকেট হামলায় অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার হামলায় এখনও পর্যন্ত ১১২টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের আরও দাবি, যুদ্ধ করতে এসে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ৪০০ জন রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। ১৪৭০টি সাঁজোয়া গাড়ি ও ৪৬৬টি রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে।
রুশ হামলায় ধ্বংস হওয়া মারিয়োপোলের প্রেক্ষাগৃহ থেকে ১৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ১০টি মানবিক করিডর (হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর) খোলার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। তার মধ্যে একটি মারিয়োপোলে।
সব মিলিয়ে ক্রমশ আরও বিপজ্জনক দিকে যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর্থিক নিষেধাজ্ঞার জেরে রাশিয়ার ধনীদের যে সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা নিলামে তুলে ইউক্রেনের যুদ্ধের খরচ জোগানোর ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।