Telangana Drug Racket

তেলঙ্গানায় কারখানার আড়ালে ১০ বছর ধরে সক্রিয় অসাধুচক্র! উদ্ধার ৬০ কোটি টাকার মাদক

প্রায় ১০ বছর ধরে গোপনে ওই কারখানায় নিষিদ্ধ মাদক অ্যালপ্রাজ়োলাম উৎপাদন চলত। শুক্রবার রাতে কারখানার মালিক সুধীর গৌড়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধরা পড়েছেন তাঁর সহযোগীরাও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৫
Share:

মাদক তৈরির চক্রের সন্ধান পেল পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

রাসায়নিক কারখানার আড়ালে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছিল নিষিদ্ধ মাদক তৈরির ব্যবসা! এ বার তেলঙ্গানায় পুলিশের জালে ধরা পড়লেন কারখানার মালিক-সহ পাঁচ জন। উদ্ধার হল ৬০ কোটির মাদকও!

Advertisement

সম্প্রতি তেলঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় ১০ বছর ধরে গোপনে ওই কারখানায় নিষিদ্ধ মাদক অ্যালপ্রাজ়োলাম উৎপাদন চলত। শুক্রবার রাতে কারখানার মালিক সুধীর গৌড়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর গাড়ি থেকে প্রায় ৬০ কোটি টাকা মূল্যের মাদকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সুধীরকে টানা জেরার পর শনিবার আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সুপার চেন্নুরি রূপেশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সুধীর ও তাঁর সহযোগীরা ২০১৪ সাল থেকে অবৈধ মাদক উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত। প্রাথমিক ভাবে, দলটি মাদকের পাশাপাশি ভেজাল মদও বিক্রি করত। কিন্তু ২০২৩ সালে পাকাপাকি ভাবে অ্যালপ্রাজ়োলাম উৎপাদন শুরু হয়। ব্যবসায় সুবিধার জন্য হায়দরাবাদে একটি রাসায়নিক কারখানাও কেনেন অভিযুক্তেরা। কেনা হয় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামও।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কারখানায় প্রতি কিস্তিতে ৫০ কেজি করে মাদক উৎপাদনের মতো পরিকাঠামো ছিল। সেই মাদক বিক্রি হত কেজি প্রতি চার লক্ষ টাকায়। হায়দরাবাদ, সাঙ্গারে়ড্ডি, মেদক, সিদ্দিপেট এবং কামারেডি জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে মাদকের বরাত আসত। ওই কারখানা চত্বর থেকে তিনটি গাড়ি, ছ’টি মোবাইল ফোন এবং আরও নানা সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement