যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের দাবি, ২০১৬ সালে সিরিয়ায় প্রথম বার এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল রাশিয়া। তবে মস্কো এ বারও একই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে কি না তা জানা যায়নি। কারণ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রের কথা জানান ২০১৮ সালে।
ফাইল ছবি।
আবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া। এ বার লক্ষ্য মাইকোলাইভের একটি তেলের গুদাম। ক্রাইমিয়া এলাকা থেকে একটি মিগ-৩১কে বিমান থেকে কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। মুহূর্তে তা ধ্বংস করে দেয় বিরাট জ্বালানি তেলের গুদামকে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইউক্রেন। তবে কোন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ইউক্রেন।
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুতগতি সম্পন্ন ১২৫০ মাইল পাল্লার হাইপারসনিক কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল রাশিয়া। গত শুক্রবার, প্রথম বার কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য ছিল পশ্চিম ইউক্রেনে ডেলিয়াটিনের অস্ত্রভান্ডার। এ বার লক্ষ্য হল দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশের প্রতিবেশী মাইকোলাইভ প্রদেশের একটি জ্বালানি তেলের গুদাম। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ইগর কোনাশেঙ্কোভ জানিয়েছেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের যাবতীয় সাঁজোয়া গাড়ির জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হত এই গুদাম থেকেই। ক্ষেপণাস্ত্র তা ধ্বংস করে দিয়েছে।
আধ টন ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্র ২৬ ফুট লম্বা। রাশিয়ার দাবি, কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্রকে রোখার ক্ষমতা নেই পশ্চিমী কোনও দেশের। যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের দাবি, ২০১৬ সালে সিরিয়ায় প্রথম বার এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়া। তবে মস্কো এ বারও একই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে কি না তা জানা যায়নি। কারণ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রের কথা জানান ২০১৮ সালে।
এ দিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাম্প্রতিকতম সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে যে কোনও বিষয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তাঁর আশঙ্কা, এ বারও শান্তি বৈঠক নিষ্ফলা থাকলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যেতে পারে।