মস্কোর দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, আমেরিকা ও নেটো দেশ সমূহ রাশিয়াকে ভৌগোলিক ভাবে ঘিরে ফেলার ছক কষছে। তারই অন্যতম পদক্ষেপ মৌখিক চুক্তি ভেঙে ইউক্রেনকে নেটোয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া। এ বার রুশ আক্রমণের ২০তম দিনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যত স্বীকার করে নিলেন, ইউক্রেন আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নেটো সামরিক গোষ্ঠীর সদস্য হবে না। এটা দেশবাসীর মেনে নেওয়া উচিত।
ফাইল ছবি।
ইউক্রেন আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নেটো গোষ্ঠীর সদস্য হবে না। এটা দেশবাসীর মেনে নেওয়া উচিত। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ২০তম দিনে জাতির উদ্দেশে ভাষণে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তা হলে কি ক্রমশ আপসের রাস্তায় হাঁটছে ইউক্রেন? প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
রুশ সেনা কিভের যত কাছে পৌঁছচ্ছে, তাৎপর্যপূর্ণ বদল ধরা পড়ছে জেলেনস্কির বক্তব্যে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত নেটো-ইউক্রেন সম্পর্ক থেকেই ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের শুরু। মস্কোর দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, আমেরিকা ও নেটো দেশ সমূহ রাশিয়াকে ভৌগোলিক ভাবে ঘিরে ফেলার ছক কষছে। তারই অন্যতম পদক্ষেপ মৌখিক চুক্তি ভেঙে ইউক্রেনের নেটোয় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া। এ বার রুশ আক্রমণের ২০তম দিনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যত স্বীকার করে নিলেন, ইউক্রেন আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নেটো গোষ্ঠীর সদস্য হবে না।
প্রসঙ্গত, রুশ আগ্রাসনের একেবারে শুরু থেকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনকে নেটো সদস্যভুক্ত করার আবেদন-নিবেদন জারি রেখেছিলেন। কিন্তু সদস্যপদ তো দূর অস্ত্, ইউক্রেনকে কেবল মাত্র অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেই দায় সেরেছে নেটো। অথচ ইউক্রেনের এই নেটো ঘনিষ্ঠতা নিয়েই আপত্তি ছিল মস্কোর! এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ নেটোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে ইউক্রেনের। অন্য দিকে রাশিয়ার আগ্রাসনের তেজকে মোকাবিলা করে বেশি দিন যে কিভ ধরে রাখা যাবে না, তাও বুঝতে পারছেন জেলেনস্কি। এই প্রেক্ষিতেই নেটো নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি।
এ দিকে কিভের দিকে এক পা এক পা করে এগোচ্ছে রুশ বাহিনী। আগ্রাসনের ২০তম দিনে কিভকে কেন্দ্র করে বোমাবর্ষণের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। এতে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কর্তৃপক্ষের দাবি, রুশ বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণে ভেঙে পড়েছে একাধিক বহুতল। ধ্বংসস্তূপের নীচে কত জন চাপা পড়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।