২০১৮ সালে রীতিমতো বিদেশি সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে পাঙ্গিয়ে-রি পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিল কিমের প্রশাসন। কিন্তু সম্প্রতি সেখানেই ফের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বলে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে।
ফাইল চিত্র।
গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যার সমালোচনায় সরব হয়েছে আমেরিকা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ। এ বার কিম জং উনের দেশ তাদের একটি বন্ধ করে দেওয়া পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র ফের চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানাল দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা বাহিনীর তরফে দেওয়া বিবৃতি উদ্ধৃত করে দেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, খুব সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে সেই ছবি ধরা পড়েছে।
২০১৮ সালে রীতিমতো বিদেশি সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে পাঙ্গিয়ে-রি পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিল কিমের প্রশাসন। কিন্তু সম্প্রতি সেখানেই ফের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বলে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার আশঙ্কা, খুব শীঘ্রই পরমাণু বোমার পরীক্ষা করতে চলেছে পিয়ংইয়্যাং। ২০১৭ সালের পর থেকে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে আর কোনও পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেনি উত্তর কোরিয়া। কিন্তু আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা থমকে থাকায় তারা যে কোনও সময়ে পরমাণু কর্মসূচি চালু করতে পারে বলে আশঙ্কা
জানিয়েছে সোল।
উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্বে পর্বত ঘেরা এলাকায় পাঙ্গিয়ে-রি পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্রটি অবস্থিত। মূল চিনা ভূ-খণ্ড থেকে এলাকাটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। এর আগে ২০০৬, ২০০৯, ২০১৩, ২০১৬-র জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বর এবং ২০১৭ সাল মিলিয়ে মোট ছ’বার পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়্যাং। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মূল তিনটি সুড়ঙ্গ পথ ২০১৮ সালে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সামনে বন্ধ করে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া সরকার। কিন্তু পরমাণু বিশেষজ্ঞদের দাবি, তার পরেও গোপনে পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছে কিমের প্রশাসন। কারণ ওই পার্বত্য এলাকায় একাধিক বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যা প্রাকৃতিক কারণে নয় বলেই দাবি তাঁদের। এ বারে এই পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে নির্মাণকাজের ছবি দেখে ফের আশঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।