খারকিভ এবং কিভকে চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে ঢোকার চেষ্টা করছে রুশ সেনারা। কিন্তু জায়গায় জায়গায় যে ভাবে ইউক্রেনীয় সেনা এবং সাধারণ নাগরিকের যৌথবাহিনী একটি নিরাপত্তার বলয় তৈরি করেছে তাতে এই দুই শহরের ভিতরে ঢুকতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে রুশ সেনাদের।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। ছবি: রয়টার্স।
ছ’দিনে প্রায় ছ’হাজার রুশ সেনাকে খতম করা হয়েছে। বুধবার এমনই দাবি করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও ইউক্রেনের এই দাবিকে নস্যাৎ করেছে রাশিয়া।
প্রায় ৬৪ কিমি দীর্ঘ কনভয় নিয়ে কিভের দিকে এগিয়ে আসছে রুশ বাহিনী। অন্য দিকে, ইউক্রেনীয় সেনাকে নাস্তানাবুদ করতে ক্রমাগত খারকিভ এবং কিভে বোমাবর্ষণ করে চলেছে রুশ বায়ুসেনা। পাল্টা জবাব দিচ্ছে জেলেনস্কির বাহিনীও।
গত ২৪ ঘণ্টায় খারকিভে রুশ বায়ুসেনার বোমাবর্ষণে ২১ জন ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একশোরও বেশি মানুষ। খারকিভের জিতোমিরের একটি মাতৃসদনে রুশ বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন দু’জন। আহতের সংখ্যা ১৬। রাশিয়ার দাবি, তারা খারসন শহর দখল করেছে। খারসনের গভর্নর জানিয়েছেন, গোটা শহরটি ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনা। তবে শহর দখল করার বিষয় নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
খারকিভ এবং কিভকে চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে ঢোকার চেষ্টা করছে রুশ সেনারা। কিন্তু জায়গায় জায়গায় যে ভাবে ইউক্রেনীয় সেনা এবং সাধারণ নাগরিকের যৌথবাহিনী একটি নিরাপত্তার বলয় তৈরি করেছে তাতে এই দুই শহরের ভিতরে ঢুকতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে রুশ সেনাদের।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে ভাবে এই দুই শহরে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ সেনাদের, তাতে রাশিয়া তাদের রণকৌশল বদলাতে পারে। চেচনিয়া এবং সিরিয়াতে যে রণকৌশল নিয়েছিল রাশিয়া এ বার সে দিকেই ঝঁকতে পারে তারা। তার মধ্যে একটি হল লাগাতার বোমাবর্ষণ করে ইউক্রেনীয়দের নাস্তানাবুদ করা। আর দ্বিতীয়টি হল, বিপুল গোলাবারুদ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। তার প্রস্তুতি যে শুরু হয়ে গিয়েছে সম্প্রতি ম্যাক্সার টেকনোলজিসের প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। ৬৪ কিমি দীর্ঘ কনভয় নিয়ে কিভের দিকে ক্রমে অগ্রসর হচচ্ছে রুশবাহিনী।