২০১৯-এ তুরস্কের কাছ থেকে এই ড্রোন কিনেছিল ইউক্রেন। আর্মেনিয়া ছাড়া লিবিয়া, সিরিয়া এবং নাগোরানো-কারাবাখ সংঘর্ষে এই ড্রোন দারুণ সাফল্য পেয়েছে।
বের্যাকটার টিবি-২ ড্রোন।
রুশ সেনার কনভয়কে ছিন্নভিন্ন করে দিতে এ বার ড্রোন নিয়ে হামলা শুরু করেছে ইউক্রেন। আর এই হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে বের্যাকটার টিবি-২ নামে অত্যাধুনিক এবং ঘাতক ড্রোন।
শত্রুপক্ষের কনভয়কে নিশানা করা হচ্ছে এই ড্রোন দিয়ে। ২০২০-র নভেম্বরে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে এই ড্রোন ব্যবহার করে আজারবাইজান তাদের সামরিকবাহিনীকে তছনছ করে দিয়েছিল। ওই যুদ্ধে দারুণ সাফল্য এনে দিয়েছিল এই ড্রোন।
কিন্তু এ বার প্রতিপক্ষ রাশিয়া। যার বিপুল সামরিক ক্ষমতা। অত্যাধুনিক সমরসজ্জা। ফলে প্রেক্ষিতটাও অনেকটাই আলাদা। রাশিয়ার কনভয়ে এই ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে একক ভাবে যে সাফল্য এনে দিয়েছিল এই ড্রোন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কি তা এঁটে উঠতে পারবে? যদিও এই ড্রোনের উপরই ভরসা রাখছে ইউক্রেন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তুরস্কের তৈরি এই বের্যাকটার ড্রোন আমেরিকার এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনের ওজনের এক-অষ্টমাংশ। ১২৮ কিমি প্রতি ঘণ্টায় লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোন চারটি এমএএম লেসার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। এবং হামলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি নিখুঁত।
২৭ ঘণ্টা টানা ওড়ার ক্ষমতা রাখে এই ড্রোন। এর যোগাযোগ স্থাপনের বিস্তার ২৯৬ কিমি। ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে এই ড্রোন। ৬ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে পারে।
ইউক্রেন বায়ুসেনার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেসচুক এই ড্রোনকে ‘জীবনরক্ষক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ২০১৯-এ তুরস্কের কাছ থেকে এই ড্রোন কিনেছিল ইউক্রেন। আর্মেনিয়া ছাড়া লিবিয়া, সিরিয়া এবং নাগোরানো-কারাবাখ সংঘর্ষে এই ড্রোন দারুণ সাফল্য পেয়েছে।