ইতিমধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিভ এবং খারকিভে ঢুকতে রুশ সেনাদের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনীয় সেনা থেকে সাধারণ মানুষ। যত প্রতিরোধ বাড়ছে, রাশিয়া যেন ততই হিংস্র হয়ে উঠছে। ফলে পরমাণু হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মহল।
ফাইল চিত্র।
কিভে শেষ পর্যায়ের হামলা চালানোর জন্য পুরোদস্তুর প্রস্তুত রাশিয়া। সোমবারই ম্যাক্সার টেকনোলজিস প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে শহরের উত্তর অংশ দিয়ে রুশ সেনার বিশাল কনভয় কিভের দিকে এগিয়ে আসছে। প্রায় ৬৪ কিমি লম্বা ছিল ওই কনভয়। ফলে পরিস্থিতি যে আরও ভয়ানক হতে চলেছে ছবিতেই তা স্পষ্ট।
ইতিমধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিভ এবং খারকিভে ঢুকতে রুশ সেনাদের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনীয় সেনা থেকে সাধারণ মানুষ। যত প্রতিরোধ বাড়ছে, রাশিয়া যেন ততই হিংস্র হয়ে উঠছে। ফলে পরমাণু হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মহল।
রাশিয়া যদি সত্যিই কিভে পরমাণু বোমা ফেলে তা হলে কতটা প্রভাব পড়বে?
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাশিয়ার হাতে এই মুহূর্তে সাড়ে ৬ হাজার পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। রাশিয়া যদি ১০০ কিলোটন ওজনের পরমাণু বোমা কিভের উপর ফেলে তা হলে প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার এলাকা জ্বলে পুড়ে স্রেফ ছাই হয়ে যাবে।
এয়ার ব্লাস্ট ১: পরমাণু বোমার প্রথম এয়ার ব্লাস্ট হলে তার প্রভাব সাড়ে তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ভয়ানক কম্পন অনুভূত হবে। শুধু তাই নয়, ১০ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে পরমাণু তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়বে। বছরের পর বছর ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেই তেজস্ক্রিয়তার শিকার হবে। পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে।
এয়ার ব্লাস্ট ২: এর প্রভাবে ১৪.২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘরবাড়ি সব ভেঙে পড়বে। ৪৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে থার্মাল রেডিয়েশন। ১৫-২৭ লক্ষ মানুষ এই তেজস্ক্রিয়তার শিকার হবেন। শুধু তাই নয়, এর প্রভাব পৌঁছতে পারে ৯৪ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত। যার জেরে ঘরের জানলার কাচ ভেঙে যেতে পারে।
১৯৪৫ সালের ৬ অগস্ট জাপানের হিরোশিমায় আমেরিকা ‘লিটল বয়’ নামে যে পরমাণু বোমাটি ফেলেছিল সেটির শক্তি ছিল প্রায় ১২-১৫ কিলোটন টিএনটির বিস্ফোরণ ক্ষমতার সমান। যার প্রভাবে পাঁচ বর্গমাইল এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৪ হাজার মানুষের। সেই ঘটনার পর প্রায় আট দশক কেটে গিয়েছে। প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। তার সঙ্গে পরমাণু অস্ত্রও আরও ঘাতক হয়েছে। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির হাতে যে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে তা সেই সময়ের তুলনায় কতটা ভয়ানক প্রভাব ফেলতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।