ছবি: রয়টার্স।
এ বারে পূর্ব ইউক্রেনের একটি স্কুলে হামলা চালাল রাশিয়া। ধ্বংসস্তূপ সরাতে তিনটি দেহ মিলেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা স্পষ্ট নয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালিয়েছে মস্কোর বাহিনী। গত কাল ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের জনবহুল এলাকায় ভয়ানক গোলাবর্ষণ করে রুশরা। তাতেও তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্তত ২৩ জন জখম।
এর মধ্যে কিছুটা আশার আলো জাগিয়েছে একটি চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী, কৃষ্ণসাগর দিয়ে জাহাজ মারফত শস্যদানা রফতানি করতে পারবে ইউক্রেন। রাশিয়াও শস্যদানা ও সার রফতানি করতে পারবে। এটুকুই অবশ্য যা স্বস্তির খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিত নেই। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল দখল করতে মাসের পর মাস যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। এ সপ্তাহ থেকে পূর্ব ইউক্রেন ছাড়াও অন্যান্য অঞ্চল দখলে নজর দিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দফতর আজ জানিয়েছে, ডনেৎস্ক প্রদেশের ক্রামাতোরস্কে রুশ গোলাবর্ষণে একটি স্কুল ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৮৫টি আবাসন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী স্কুলের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তিনটি দেহপেয়েছে। ডনেৎস্কের গভর্নর পাবলো কিরিলেঙ্কো বলেন, ‘‘স্কুল ও হাসপাতালে রুশরা যে ভাবে হামলা চালাচ্ছে, তা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকা শহরগুলোকে ওরা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করছে। ওদের লক্ষ্য একেবারে স্পষ্ট।’’
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কোনাশেনকোভ যদিও বলেন, রুশ হামলায় ৩০০ ইউক্রেনীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছে। ওরাইক্রামাতোরস্কের ওই ২৩ নম্বর স্কুলে গোপন ঘাঁটি বানিয়ে ছিল। মিকোলিভে হামলার প্রসঙ্গে কোনাশেনকোভের দাবি, শিল্পতালুকে একটি জায়গায় যুদ্ধাস্ত্র মজুত ছিল। রুশ হামলায় সেটি ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, ৫ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে আমেরিকার পাঠানো চারটি হিমার মাল্টিপল রকেট লঞ্চার ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী। আমেরিকা জানিয়েছে, তারা ১২টি হিমার পাঠিয়েছিল, আরও চারটি পাঠাবে।
ইউক্রেন সরকার দাবি করেছে, শুধু ক্রামাতোরস্কের স্কুলটিই নয়, নিপ্রো অঞ্চলের তিনটি স্কুলধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী। অ্যাপোস্টোলোভ শহরে সাতটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে। অন্তত ১৮ জন বাসিন্দা গুরুতর জখম। অঞ্চলের গভর্নর ভ্যালেন্টিনরেজ়নিচোঙ্কো বলেন, ‘‘এই হামলার কোনও অর্থ নেই। কোনও সামরিক ঘাঁটি ছিল না ওখানে। এই হামলার একটাই অর্থ, সাধারণ মানুষকে খাদে ফেলে দেওয়া। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা।