ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
দু’সপ্তাহের মধ্যে সঙ্গম করেছিলেন ১৫৮ জন পুরুষের সঙ্গে। তা জনসমক্ষে ঘোষণা করার পর থেকেই চর্চায় রয়েছে দুষ্টু মডেল তারকা বনি ব্লু। সম্প্রতি এক রেস্তরাঁর কর্মীকে ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাবও দিয়ে ফেললেন তিনি। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়তেই (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বনি।
‘ডম লুকর। ব্রেকার অফ ন্যারেটিভ্স’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, রেস্তরাঁর এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন বনি। তরুণ কর্মীকে বনি জিজ্ঞাসা করছেন, ‘‘তোমার নাম কি মেনুকার্ডে রয়েছে?’’ বনির প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে যান তরুণ। তিনি বলেন, ‘‘না, আমার নাম নেই মেনুকার্ডে। আপনি চাইলে আমি আপনাকে মেনুকার্ড দেখিয়ে দিতে পারি।’’ বনি রেস্তরাঁয় দাঁড়িয়েই তরুণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বনি বলেন, ‘‘কাজ শেষ করে আমার সঙ্গে দেখা করতে পারো। এই দোকানের পিছনে কোনও বিশেষ ঘর রয়েছে? তুমি চাইলে আমায় অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারো। আমি তোমায় ভাল রেটিং দিতে চাই।’’
বনির প্রস্তাব শুনে ঘাবড়ে যান তরুণ। অন্য দিকে পেশাগত কারণে ক্রেতার সঙ্গে কঠিন ভাবে কথাও বলতে পারবেন না তিনি। তাই তিনি বলেন, ‘‘এটা যদি স্বপ্ন হত তা হলে বেঁচে যেতাম। কিন্তু আমি বিয়ে করার আগে অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চাই না।’’ এই ভিডিয়োটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, বনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯৫০ জন পুরুষের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন। তবে এই বিষয়ে কিছু জানাননি বনি। তবে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে যাওয়ার পর সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি মেল’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বনি জানিয়েছিলেন যে, দু’সপ্তাহের মধ্যে ১৫৮ জন পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করেছিলেন তিনি। সেই কাজে বনিকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর বাবা-মা। ভিডিয়ো তৈরির জন্য কলেজপড়ুয়া ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সি তরুণদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। যাঁরা রাজি হয়েছিলেন তাঁদের দিয়ে একটি ফর্ম পূরণ করানো হয়েছিল। ১৪ দিনে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৫৮-য়। বনি জানিয়েছিলেন, এত জন তরুণকে রাজি করানোর বিষয়ে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন তাঁরই বাবা-মা। তাঁর মা একটি বিশেষ লোগোও তৈরি করে দিয়েছিলেন ভিডিয়োগুলির জন্য। এমনকি, ভিডিয়ো শুটের আগে তাঁর ঘরে আসা পুরুষদের হাতে কন্ডোম তুলে দিতেন বনির মা। ভিডিয়ো শুটের পর ঘর পরিষ্কারও করে দিতেন তিনি। অন্য দিকে, বনির বাবা তাঁর হয়ে বিজ়নেস কার্ড বিলি করতেন।
সম্প্রতি ব্রিটেনের বাসিন্দা বনি। প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পোস্ট করে প্রচুর আয় তাঁর। এখন ওই ভিডিয়োগুলির কারণেই মাসে প্রচুর আয় করেন তিনি।পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ৯টা-৫টার চাকরি করবেন না বলেই তিনি এই পেশা বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার একটি ভিডিয়ো ফাঁস হওয়ার পর আমি কী করি তা আমার বাবা-মা জানতে পেরেছিল। আমাকে বাবা-মা বলেছিল যে আমি যদি খুশি থাকি, তা হলে ওরাও খুশি থাকবে।’’