সুলতান সলমন বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। ছবি: সংগৃহীত।
সুলতান সলমন বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের জমানায় সৌদি আরবে ‘অস্বাভাবিক হারে’ বেড়ে গিয়েছে মৃত্যুদণ্ড। দু’টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্ট বলছে, পূর্বতন সুলতান আবদুল্লা বিন আবদুলাজিজ আল সৌদের তুলনায় মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম দেশটিতে। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের মতো ঘটনাও বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
২০১৫ সালের আবদুল্লার প্রয়াণের পর তাঁর সৎভাই সলমন বিন আবদুলাজিজ সুলতান হন। মানবাধিকার সংগঠন ‘রিপ্রাইভ’ এবং ‘দ্য ইউরোপিয়ান সৌদি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস’-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ে সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার গড় হার ছিল ৭০.৮ শতাংশ। তবে ২০১৫ সালে সলমন সৌদি আরবের সুলতান হওয়ার পর ওই বছর এই হার বেড়ে হয়েছে ১২৯.৫ শতাংশ!
সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে প্রশাসনিক কাজে যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সক্রিয়তা বাড়ার পরে সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের হার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে সে দেশের ১৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মার্চ মাসেই ৮১ জনের! এঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন রাজনৈতিক অভিযুক্তও রয়েছেন। সমালোচকদের ‘খুন’ করার অভিযোগও রয়েছে যুবরাজ সলমনের বিরুদ্ধে। যুবরাজের কট্টর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ২০১৮ সালে, তুরস্কের ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে ‘খুন’ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, সলমনের নির্দেশেই হয়েছিল সেই হত্যাকাণ্ড।