বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের হাতে সৌহার্দ্যের প্রতীক মিষ্টির ঝুড়ি তুলে দিচ্ছেন বিএসএফ-এর ডিজি রাকেশ আস্থানা। বুধবার আখাউড়া সীমান্তে। ছবি: বাপী রায়চৌধুরী
ওড়ার ঠিক আগে বাহিনীর নিজস্ব বিমানটিতে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ায় রবিবার দিল্লি থেকে ঢাকায় যেতেই পারেননি বিএসএফ-এর নতুন ডিজি রাকেশ আস্থানা। সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলও ছিল। সে দিন দুপুর থেকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে ডিজি পর্যায়ের বৈঠকটি তাই স্থগিত করে দিতে হয়েছিল। অবশেষে আগরতলা-আখাউড়া সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে বুধবার সকালে ঢাকায় গিয়েছেন বিএসএফ-এর ডিজি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র সঙ্গে বৈঠকটি কাল শুরু হয়ে চলবে শনিবার পর্যন্ত।
আগরতলা-আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে রবিবার সকালে বাংলাদেশে যান বিএসএফ-র ডিজি আস্থানা ও প্রতিনিধি দলের আরও তিন সদস্য। সীমান্তের জিরো পয়েন্টে তাঁদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান বিজিবি-র উত্তর-পূর্ব অঞ্চল সরাইল বিভাগের আঞ্চলিক অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জাকির হোসেন। দুপুরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকা রওনা হয় বিএসএফের দলটি। সেখানে পিলখানায় নিজেদের সদর দফতরে বিজিবি-র ডিজি মেজর জেনারেল মোহম্মদ সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ জনের একটি দলের সঙ্গে আলোচনা হবে আস্থানাদের। ভারতীয় দলে স্বরাষ্ট্র ও বিদেশ মন্ত্রকের দুই কর্তা রয়েছেন। বিজিবি-র ডিজির নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ বিভাগের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বৈঠকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ বন্ধ করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলবে বাংলাদেশ। এ বছর অগস্ট পর্যন্ত বিএসএফ-এর গুলিতে ৪৪ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। অন্য দিকে মাদক, গরু, জাল নোট, সোনা ও অস্ত্র চোরাচালান রুখতে যৌথ টহলদারি আরও জোরদার করার বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব বাংলাদেশের কাছে উত্থাপন করবেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে শনিবার দু’পক্ষের মধ্যে একটি বোঝাপড়া চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।