বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিক্ষোভ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময়ই হিংসা ছড়াল বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়। এর মধ্যে শুক্রবার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারি এলাকায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর খবর মিলেছে।
শুক্রবারই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবের সূচনা হয়। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ১৯৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সহযোগী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় গিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মূলত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাকিস্তান-পন্থী জামাত-ই-ইসলামি এবং তার সহযোগী গোষ্ঠীগুলিই এই বিক্ষোভে জড়িত।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী জামাতকে কয়েক বছর আগে হাসিনা সরকার নিষিদ্ধ করলেও নাম বদলে কয়েকটি ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নামের আড়ালে সক্রিয়তা চালিয়ে যাচ্ছেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ওই সংগঠনগুলি পরিচালিত কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাই মূলত হিংসাত্মক বিক্ষোভ চালাচ্ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের ভোটপ্রচারে মোদী-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের অনুপ্রবেশ বিরোধী মন্তব্যের জেরে বাংলাদেশের জনসমাজের একাংশে অসন্তোষ ছড়িয়েছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জামাত-পন্থীরা কৌশলে ভারতবিরোধী জিগির তোলার চেষ্টা করছে বলে বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী স্লোগানের পাশাপাশি মোদীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চট্টগ্রাম-সহ কয়েকটি এলাকায় হামলা হয়েছে থানাতেও। শাসকদল আওয়ামি লিগের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে হাটহাজারিতে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে শুক্রবার।
চট্টগ্রামের পুলিশ আধিকারিক রফিকুল ইসলাম শুক্রবার সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘থানায় হামলা ঠেকাতে আমরা রবার বুলেট ব্যবহার করেছি।’’ অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকায় শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েকজন সাংবাদিকও গুরুতর জখম হয়েছেন।