বীরেন্দ্র সহবাগ। —ফাইল চিত্র।
শতরান বা দ্বিশতরানের মুখে দাঁড়িয়ে কখনও ধরে খেলার কথা ভাবতেন না বীরেন্দ্র সহবাগ। তাঁর ছেলে আর্যবীর সহবাগও একই ধাতুতে গড়া। মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়েও আগ্রাসী ব্যাটিংই পছন্দ তার। অনূর্ধ্ব ১৯ কোচ বিহার ট্রফিতে ৩ রানের জন্য ত্রিশতরান হাতছাড়া হয়েছে আর্যবীরের। তা নিয়ে সহবাগের আক্ষেপ নেই। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের আক্ষেপ ছেলে ফেরারি গাড়ি জেতার সুযোগ হাতছাড়া করায়।
টেস্টে সহবাগের সর্বোচ্চ রান ৩১৯। এক সাক্ষাৎকারে সহবাগ বলেছিলেন, ‘‘আমার সন্তানদের বলেছি, স্কুল ক্রিকেটেও যদি আমার করা ৩১৯ রান টপকাতে পার, তা হলে ফেরারি উপহার দেব।’’ সে কথা মনে রয়েছে সহবাগের। আর্যবীর অনূর্ধ্ব ১৯ কোচ বিহার ট্রফির ম্যাচে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ রান করে আউট হওয়ার পর সে কথা আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন সহবাগ। ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আর্যবীর সহবাগ তুমি ভাল খেলেছ। ২৩ রানের জন্য ফেরারিটা হাতছাড়া করলে। তবে খুব ভাল খেলেছ। ভিতরের আগুনটা ধরে রাখ। আরও অনেক শতরান, দ্বিশতরান, ত্রিশতরান কর। এ ভাবেই খেলে যাও।’’
আর্যবীর আর ২৩ রান করতে পারলে তার রান হত ৩২০। টেস্ট ক্রিকেটে বাবার সর্বোচ্চ রান টপকে যেত ১৭ বছরের ব্যাটার। তা হলে বাবার কাছ থেকে উপহার হিসাবে সে পেতে পারত ফেরারি গাড়ি। কিন্তু ৩০৯ বলে ২৯৭ রান করে আউট হয়ে যাওয়ায় এ বার আর্যবীরের ফেরারি পাওয়া হচ্ছে না। মেঘালয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ইনিংসে আর্যবীরের ব্যাট থেকে এসেছে ৫১টি চার এবং ৩টি ছক্কা। ত্রিশতরানের সামনে দাঁড়িয়েও ধরে খেলার চেষ্টা করেনি সহবাগ-পুত্র। ফেরারি উপহারের কথাও অজানা ছিল না তার। সেই প্রলোভনেও পা দেয়নি। একই রকম ব্যাটিং করেছেন। যা দেখে খুশি সহবাগ।
২০০৪ সালে মুলতান টেস্টে এ ভাবেই ব্যাট করেছিলেন সহবাগ। ৯৪ থেকে ১০০, ১৯৪ থেকে ২০০ এবং ২৯৪ থেকে ৩০০ রানে পৌঁছে ছিলেন ছক্কা মেরে। তিন বারই ছক্কা মেরেছিলেন সহবাগ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে তিনি করেছিলেন ৩০৯ রান। ২০০৮ সালে চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩১৯ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন সহবাগ। ৩০৪ বলের সেই ইনিংসে সহবাগ মেরেছিলেন ৪২টি চার এবং ৫টি ছক্কা। সহবাগই একমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটার, টেস্ট ক্রিকেটে যার একাধিক ত্রিশতরানের ইনিংস রয়েছে।