প্রতীকী ছবি।
কাগজ-কলমে বা রিজিওনাল অফিসে নয়। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এ বার থেকে হবে অনলাইনে। পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সেন্টার সেক্রেটারি, জয়েন্ট কনভেনরদের তালিকার বিস্তারিত সংসদের পোর্টালেই আপলোড করতে হবে স্কুলগুলিকে। এমনই নির্দেশিকা জারি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।
সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, শুরুতে এই পোর্টাল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রাধীন থাকবে জয়েন্ট কনভেনর এবং জেলা পরিদর্শকের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘সেন্টার সেক্রেটারি, সেন্টার ইনচার্জ-এর সমস্ত কাজ এই অনলাইন ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা হচ্ছে। ধাপে ধাপে পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কাউন্সিল নমিনি, ডিএসসি মেম্বার-সহ সকলের তালিকাই অনলাইন ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসা হবে।’’
সংশ্লিষ্ট পোর্টালের ইউজ়ার আইডি-পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে জয়েন্ট কনভেনর এবং জেলা পরিদর্শককে (ডিআই)। জয়েন্ট কনভেনর প্রথমে সম্পূর্ণ তালিকা সুপারভাইজ় করে ডিআই-কে দেবেন। ডিআই তা পুনরায় পর্যালোচনা করে কাউন্সিলের কাছে অনলাইনে নথিভুক্ত করবেন।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘অনলাইন সিস্টেম চালু করার দুটো দিকই আছে। ভালএবং মন্দ। অনলাইন সিস্টেম যদি নিরাপদ এবং ফুল প্রুফ করা যায় তবে সেটা নিশ্চয় ভাল। আর তা না হলে ট্যাব নিয়ে যে কাণ্ড হয়েছে সে রকম হবে। তবে যে সব লোকেকে পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হয় তাদের অনেকের গতিবিধিই সন্দেহজনক। তাই পোর্টাল থেকে ঐ ব্যক্তিদের উপর নজরদারি রাখলে সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করা যাবে।’’
ইতিমধ্যেই অনলাইনে প্রশ্নপত্রের নম্বর তোলা থেকে রেজিস্ট্রেশন, সমস্তটাই অনলাইনে করার পথে হেঁটেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে ২০২৫ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ এবং তালিকা ত্রুটিমুক্ত করার জন্য ধাপে ধাপে অনলাইনের পথে শিক্ষা সংসদ।
এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষক মহলের একাংশ। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ‘‘পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও গতি আনতে অনলাইন পদ্ধতির বিকল্প হয় না। এই পদ্ধতি সর্বস্তরে চালু হলে ছোট ছোট বিষয়ে অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ন্ত্রণ-সহ ভুলভ্রান্তি দূর করা সম্ভব হবে’’।