প্রতীকী ছবি।
নতুন করে সাত দিনের লকডাউন জারি হওয়ায় উত্তাল হল বাংলাদেশ! ফরিদপুর জেলার সালথা অঞ্চলে প্রশাসন লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ জনতা একটি থানায় ভাঙচুর চালায়। পুলিশ ও ফরিদপুরের সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার আবদুল মতিন জানিয়েছেন, অন্তত তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম জুবায়ের হোসেন (২০)। বাকি দু’জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় সালথায় হঠাৎ-ই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে কোভিড-১৯-এর জন্য জারি হওয়া লকডাউনের বিধিনিষেধ না মানার কারণে পুলিশের নিগ্রহে আহত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। এমনিতেই সাত দিনের এই পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণার পর খুশি ছিলেন না জনসাধারণের একাংশ। বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ীরা এই ঘোষণার পরপরেই জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁদের ব্যবসা চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হোক। এই মর্মে ঢাকা শহরে একটি প্রতিবাদ সমাবেশেরও আয়োজন করেন তাঁরা। সালথায় ওই গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরেই জনতার মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। থানা ও সরকারি অফিস উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। এক সরকারি আধিকারিকের বাড়ি ও দু’টি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস ছুড়তে শুরু করলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়। এক দল বিক্ষোভকারী পুলিশ স্টেশন আক্রমণ করলে পুলিশের গুলিতে আহত হন তিন জন। স্থানীয় পুলিশ অফিসার মহম্মদ আলিমুজ্জামান জানিয়েছেন, আত্মরক্ষার খাতিরেই পুলিশ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এই সংঘর্ষে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে আটক করা হয়েছে।