ফাইল চিত্র।
সেনা-বিরোধী বিক্ষোভ থামার নাম নেই মায়ানমারে। উল্টে দিন যত এগোচ্ছে, সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ততই বাড়ছে। দেশে গণতন্ত্র ফেরানের দাবিতে আজ পঞ্চম দিনেও তাই রাস্তায় নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা। চিকিৎসক-শিক্ষক-সহ সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ সেনার বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন পরিষেবায়।
সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় মায়ানমারের বিরুদ্ধে নয়া নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী দিনে দেশটির বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বাইডেন বলেন, ‘‘সেনা অবিলম্বে ক্ষমতা ছাড়ুক এবং মায়ানমারের জনগণের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিক।’’
মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে গত কাল ফোনে কথা বলেছেন আমেরিকায় বিদেশসচিব টনি ব্লিঙ্কেন ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সূত্রের খবর, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক স্থিতি বজায় রাখা নিয়ে জয়শঙ্করের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। মায়ানমারে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি ওলা আল্মগ্রেন বলেছেন, ‘‘অহিংস আন্দোলনে এ ভাবে পুলিশের বলপ্রয়োগ কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়।’’
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গত কালই শক্তি প্রদর্শন করেছিল পুলিশ। বিক্ষোভ চলাকালীন নেপিদ-তে পুলিশের বলপ্রয়োগে আহত হন তিন জন। তাঁদের মধ্যে এক মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাথায় হেলমেট পরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হেলমেট ফুঁড়ে রবার বুলেট ঢোকে তাঁর মাথায়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই মহিলার বাঁচার আশা খুবই কম।
সেনার বিরুদ্ধে পথে নামতে দেখা গিয়েছে পুলিশ কর্মীদের একাংশকেও। এ দিকে, পড়শি দেশ তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চান-ওচা আবার আজ জানিয়েছেন, মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য সেনা অফিসারেরা তাঁর সাহায্য চেয়েছেন।