সেনার পোশাকে যুবরাজ হ্যারি। ফাইল চিত্র।
যুবরাজ হ্যারির অপ্রকাশিত আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ কৌতূহল এবং বিতর্ক দুইই বাড়াচ্ছে। আগেই বইটির কিছু অংশ প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দাদা উইলিয়াম, বাবা তৃতীয় চার্লসের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ অভিমানের কথা জানিয়েছেন তিনি। এ বার প্রকাশ্যে এল আত্মজীবনীর আর একটি অংশ। সেখানে প্রেমের জন্য দেশান্তরী হওয়া ‘প্রেমিক’ হ্যারি কিংবা রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা ‘অভিমানী’ হ্যারি নয়, পাওয়া গিয়েছে ‘যোদ্ধা’ হ্যারিকে।
‘দি টেলিগ্রাফে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মজীবনীর একটি অংশে ব্রিটিশ সেনার প্রতিনিধি হিসাবে আফগানিস্তানে তালিবান দমনের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন যুবরাজ। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ২৫ জন তালিবকে হত্যা করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এর জন্য তাঁর কোনও লজ্জা বা গর্ব নেই। এ বিষয়ে কেন তাঁর কোনও লজ্জা নেই, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন হ্যারি। তাঁর দাবি, ব্রিটিশ সেনার সদস্যরা তাঁকে তালিবানকে মানুষ হিসাবে গণ্য করতে বারণ করেছিলেন।
‘আল জাজিরা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৮ বছর বয়সি যুবরাজ ২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ রয়্যাল আর্মির হেলিকপ্টার চালক ছিলেন। ২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ‘অ্যাপাচে’ শ্রেণির আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টারও চালিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানে এই রকমই একটি হেলিকপ্টার থেকে তালিব যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বোমা ফেলা হয়। ঠিক কত জন সেই বোমার আঘাতে মারা গিয়েছেন, তা অবশ্য হ্যারি বলতে পারেননি। তাঁর অনুমান সংখ্যাটা পঁচিশ। তবে সংখ্যাটা যতই হোক, হ্যারি ঠিক করেছিলেন যে, তিনি কিছুতেই ভয় পাবেন না।