সেই স্কুটি এবং অঞ্জলি সিংহ। ফাইল চিত্র।
বর্ষবরণের রাতে কুড়ি বছরের তরুণী অঞ্জলি সিংহকে তেরো কিলোমিটার টেনে নিয়ে গিয়েছিল ঘাতক গাড়ি। কার্যত থেঁতলে গিয়েছিল তাঁর দেহ। দিল্লির সুলতানপুরীর এই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল সারা দেশ। অঞ্জলির পরিবার দাবি করেছিল, তাদের মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করে খুন করা হয়েছে। যদিও ময়না তদন্তের রিপোর্টে তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। ওই রাতে অঞ্জলির সঙ্গে থাকা বন্ধু নিধি দাবি করেছিলেন, মত্ত অবস্থায় ছিলেন অঞ্জলি। মৃত তরুণীর পরিবার মদ খাওয়ার দাবিকে উড়িয়ে দেয়। এ বার এই ঘটনায় নয়া দাবি করলেন অঞ্জলির আর এক বন্ধু।
ওই বন্ধু ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে জানিয়েছেন, ওই রাতে অঞ্জলি এবং নিধির মধ্যে টাকা নিয়ে হাতাহাতি হয়েছিল। টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অঞ্জলিকে হুমকি দিয়েছিলেন নিধি। আগেই জানা গিয়েছিল বর্ষবরণে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে একটি হোটেলে দু’টি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন অঞ্জলিরা। বন্ধুটির দাবি, টাকাপয়সা নিয়ে হাতাহাতি হওয়ার পরেই দু’জনেই রাগ করে হোটেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “অঞ্জলি হোটেলে আসার জন্য আমায় ৭ বার ফোন করেছিল। কিন্তু আমি ফোন তুলিনি। তারপর নিধি আমাকে এক প্রকার জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।” তাঁর সংযোজন, “হোটেলে মদ্যপান চলছিল। হঠাৎই টাকাপয়সা নিয়ে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। নিধি অঞ্জলিকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে।”
যুবকের দাবি, তারপর তিনি আর কিছু জানেন না। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর পান, অঞ্জলি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে সুলতানপুরীর কাছে অঞ্জলির স্কুটিকে একটি গাড়ি ধাক্কা মারার পর তাঁর দেহ তেরো কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায়। এক ঘণ্টা ধরে গাড়ি চালানোর পর গাড়ির চাকায় আটকে থাকা অঞ্জলির দেহ ছিটকে বেরিয়ে গেলে অভিযুক্তরা রোহিণীর কাছে গাড়িটি ছেড়ে অটো করে পালিয়ে যান বলে জানতে পারে পুলিশ। এই ঘটনায় নিধির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সব ঘটনা জানা সত্ত্বেও কেন তিনি পুলিশকে কিছু জানাননি, প্রশ্ন ওঠে তা নিয়েও। নিধি অবশ্য দাবি করেছিলেন, তিনি গোটা ঘটনায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।