কোয়াড বৈঠকের আগে চার দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ছবি—রয়টার্স।
আমেরিকার ওয়াশিংটনে শুক্রবার মধ্যরাতে (ভারতীয় সময়) হল চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডের বৈঠক। কোয়াড অন্তর্ভুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রনেতা এই প্রথম বার মুখোমুখি মিলিত হলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। সেই বৈঠকে বিশ্বের বর্তমান সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির পাশাপাশি এশিয়ার স্থিতাবস্থা এবং সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুরুতে বক্তৃতা করার সুযোগ পেয়ে মোদী চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডের বৈঠকে হিন্দিতে বলেছেন, ‘‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার উন্নয়নেরর জন্য ২০০৪ সালে সুনামির পর আমরা প্রথম মিলিত হয়েছিলাম। সারা বিশ্ব যখন কোভিড অতিমারিতে দীর্ণ, তখন মানবতার কল্যাণে আমরা আবার মিলিত হলাম।’’ কোয়াডের করোনা টিকা নিয়ে উদ্যোগ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার দেশগুলিকে সাহায্য করবে বলেও মনে করেন মোদী।
সারা বিশ্বে শান্তি এবং সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা করতে কোয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করেন মোদী। মুক্ত এশিয়া গড়ে তোলাও কোয়াডের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি। মোদী বলেছেন, ‘‘আমাদের নিজ নিজ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রেক্ষিতে কোয়াড এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা সদভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাব। জলবায়ু, কোভিড মোকাবিলা, বিশ্বের নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি নিয়ে কোয়াড সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে পেরে ভাল লাগছে। বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে কোয়াড।’’ মুক্ত এবং উদার এশিয়া গড়া কোয়াডের অন্যতম লক্ষ্য বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
মোদীর পাশাপাশি আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের রাষ্ট্রনেতারাও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন ওই বৈঠকে। বাইডেনের মুখে উঠে এসেছে সমস্যা মোকাবিলা করতে চার গণতান্ত্রিক দেশের প্রচেষ্টার কথা। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে দখলদারি থেকে মুক্ত রাখা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সমস্যার সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
কোয়াডের আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মোদী। কোয়াডের আগে ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সঙ্গে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিলেন মোদী।