মোদী-বাইডেন বৈঠক
আমেরিকা সফরে গিয়ে এই প্রথম বার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম সাক্ষাতেই বাইডেনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি শতকের তৃতীয় দশকে আমাদের মধ্যে এই বৈঠক হচ্ছে। এই গোটা শতাব্দী কেমন যাবে, তা নির্ভর করছে আপনার নেতৃত্বের উপর। ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বীজ ইতিমধ্যেই বপন করা হয়েছে।’’
পশ্চিম এশিয়া এবং বিশেষত আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবেশী বলয়ে নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা বেড়েছে ভারতের। সেই আবহে দুই রাষ্ট্রনেতার এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির কারবারিরা। বৈঠকে বাইডেনের প্রশংসায় মোদী বলেন, ‘‘২০১৫, ২০১৬ সালে আপনার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিই অনুপ্রেরণা দেয়।’’ বাইডেনও বলেন, ‘‘আমেরিকাকে প্রত্যেক দিন আরও শক্তিশালী করে তুলছে ৪০ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয়।আমি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বাস করি যে, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক বিশ্বের অনেক সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমি আগেই বলেছিলাম, ২০২০ সালের মধ্যে ভারত এবং আমেরিকা সম্পর্কও আরও মজবুত হবে।’’
বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন মহাত্মা গাঁধীর প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, ‘‘গাঁধীজি বরাবর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলে এসেছেন। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এটিই সবচেয়ে জরুরি।’’ বাইডেনও বলেন, ‘‘আগামী সপ্তাহেই মহাত্মা গাঁধীর জন্মবার্ষিকী পালন করা করব আমরা। গাঁধীর অহিংসতা মেনেই চলি আমরা। ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কও আগামী দিনে আরও মজবুত, শক্তিশালী হতে চলেছে।’’
বৈঠক শেষে মোদী টুইটে বলেন, ‘‘জো বাইডেনের সঙ্গে দারুণ বৈঠক হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়ে তাঁর নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। কোভিড পরিস্থিতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমেরিকা ও ভারত কী ভাবে হাতে হাত মিলিয়ে আগামী দিনের কাজ করবে, তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।’’