প্রসার ভারতীর সিইও শশিশেখর ভেম্পতি।
দিল্লির হিংসা নিয়ে একপেশে খবর করছে ব্রিটিশ সরকারি সংবাদমাধ্যম বিবিসি— এই অভিযোগে তাদের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ ফেরালেন প্রসার ভারতীর সিইও শশিশেখর ভেম্পতি। আগামী রবিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ‘বর্ষসেরা ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদ’ শীর্ষক একটি পুরস্কার-বিতরণী সভার আয়োজন করেছে বিবিসি। তার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে ভেম্পতি জানিয়েছেন, দিল্লির হিংসা নিয়ে তাদের কিছু সংবাদই তাঁর আপত্তির কারণ। বিবিসি কর্তৃপক্ষকে ৪ তারিখ লেখা চিঠিতে তা স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রসার ভারতীর কর্তা।
হিংসায় দিল্লি পুলিশের ‘মদত’ নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি খবর করেছে বিবিসি। কিন্তু দিল্লি পুলিশের এক হেড কনস্টেবল ও এক আইবি-কর্মীর খুন নিয়ে কেন তাদের কোনও খবর নেই! চিঠিতে সে প্রশ্নও তুলেছেন ভেম্পতি। বিবিসি যেন আগামী দিনে তাদের সম্পাদকীয় দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়, চিঠিতে সেই পরামর্শও দেন তিনি।
বিবিসির অনুষ্ঠান বয়কট করলেও ব্রিটেন-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মোদী সরকার ও বিজেপির হিন্দুত্ববাদী কাজের সমালোচনা চলছেই। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বারবার বলছেন, সংশোধিত নতুন নাগরিক আইন (সিএএ) ভারতের অভ্যন্তররীণ বিষয়। অন্য রাষ্ট্র যেন নাক না-গলায়। চলতি মাসে ব্রাসেলসে ইউ-এর সঙ্গে বৈঠকেও একই বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু ব্রিটিশ এমপিরা সিএএ বা দিল্লির হিংসাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে মেনে নিয়ে চুপ থাকতে নারাজ। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত মঙ্গলবারই সরকার ও বিরোধী পক্ষের এমপিরা প্রায় এক সুরে নিন্দা করেছেন দিল্লির হিংসা এবং সিএএ-এর। লেবার পার্টির ভারতীয় বংশোদ্ভূত এমপি নাদিয়া হুইটম টুইট করেন, ‘‘দিল্লির জাতিনিধনকে সংধর্ষ বা প্রতিবাদ বলে চিহ্নিত করবেন না। এটাকে বলুন মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিজেপি অনুমোদিত হিন্দুত্বের সংগঠিত ও ধারাবাহিক হিংসা।’’ সঙ্গে নাদিয়ার কটাক্ষ, ‘‘মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া? প্রশ্ন তোলাটা প্রতিবাদেরই বৈধ পথ।’’