গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের জুন মাসে। কিন্তু হেলিকপ্টার ‘দুর্ঘটনায়’ ইব্রাহিম রইসির মৃত্যুর কারণে সে দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পদে শুরু হল উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া। শুক্রবার সকাল থেকেই প্রেসিডেন্ট ভোট শুরু হয়েছে ইরানে। ভোটপর্ব শেষ হলেই শুরু হবে গণনা।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট রইসির মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোখবর। কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হননি। এ বারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট চার জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন, পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের ঘলিবাফ, পার্লামেন্ট সদস্য মাসুদ পেজ়েশকিয়ান, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দুই সদস্য, সইদ জালিলি ও মোস্তাফা পুরমহাম্মদি।
গত ১৯ মে পূর্ব আজ়হারবাইজানে পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে রইসির চপার। তাতে ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। দুর্ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়। ইরানের সংবিধান মেনে প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট (অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট), পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধানকে নিয়ে গঠিত ‘কাউন্সিল’ দেশে নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করেছে। প্রাথমিক ভাবে ছ’জন প্রার্থী থাকলেও পরে দু’জন নাম প্রত্যাহার করে নেন।