মুখোমুখি বিতর্কে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী, ট্রাম্প এবং বাইডেন। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
চার বছর পর আবার মুখোমুখি হলেন তাঁরা। হাড্ডাহাড্ডি ‘রিম্যাচ’-এর পূর্বাভাস সঙ্গে নিয়ে। সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিয়োতে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে’। কিন্তু একসঙ্গে বিতর্কমঞ্চে উঠলেও প্রথা অনুসারে করমর্দন করলেন না জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘটনাচক্রে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মুখোমুখি বিতর্কেও করমর্দন করেননি তাঁরা দু’জন। কিন্তু সে সময় আমেরিকায় জারি ছিল কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ।
বাইডেনের জমানায় আমেরিকার অর্থনৈতিক হাল, গর্ভপাতের অধিকার, কর, স্বাস্থ্য পরিষেবা, এমনকি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের মতো প্রসঙ্গ তুলেছেন ট্রাম্প। জাতীয় নিরাপত্তায় অবহেলা, আমেরিকার নাগরিকদের স্বার্থরক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন। অন্য দিকে, ট্রাম্পের জমানার কোভিডনীতি, ক্যাপিটল হিংসা এবং ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কড়া আক্রমণ শানান বাইডেন। যৌন নিপীড়নের দায়ে ট্রাম্পকে যে আদালত জরিমানা করেছে, সে কথাও তোলেন বাইডেন। বলেন, ‘‘এক জন অপরাধীর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নৈতিক ভাবে ঠিক কি না, ভেবে দেখা প্রয়োজন।’’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিতর্কের সঞ্চালক ডানা বাশ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য ভ্লাদিমির পুতিনের দেওয়া শর্ত (ইউক্রেন আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্য হতে পারবে না) সম্পর্কে প্রশ্ন তুললে প্রথম বার ট্রাম্প তার উত্তর এড়িয়ে যান। দ্বিতীয় বার একই প্রশ্নের উত্তরে জানান, পুতিনের শর্তে তাঁর সায় নেই। অন্য দিকে, বাইডেন সরাসরি বলেন, ‘‘পুতিন এক জন যুদ্ধাপরাধী।’’ গাজ়ার যুদ্ধের জন্য স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করেন তিনি।
আগামী নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীই ধীরে ধীরে প্রচারের সুর চড়াচ্ছেন। জনমত সমীক্ষাগুলির ইঙ্গিত, বাইডেনের তুলনায় সামান্য এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে আটলান্টায় আয়োজিত মুখোমুখি বিতর্কে ট্রাম্প জমানার কড়া অভিবাসন নীতিরও সমালোচনা করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘‘উনি তো জোর করে মায়েদের থেকে শিশুসন্তানদের ছিনিয়ে নিয়ে আলাদা করেছিলেন।’’