হেমন্ত সোরেন। —ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
গত ১৩ মে ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) সংক্রান্ত রাঁচীর বিশেষ আদালত হেমন্তের জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল। তার পরেই হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে প্রায় পাঁচ মাস পরে জামিনে মুক্তি পেতে চলেছেন জেলবন্দি হেমন্ত। হাই কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘আমি খুবই খুশি এবং নিশ্চিত যে তিনি অবিলম্বে মানুষের জন্য কাজ শুরু করবেন।’’
গ্রেফতারির আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ইডির গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে অভিযোগ করে শীর্ষ আদালতে আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন হেমন্ত। কিন্তু সেই মামলা গত ২২ মে প্রত্যাহার করে নেন তাঁর আইনজীবীরা।
বস্তুত, সুপ্রিম কোর্টে গ্রেফতারি বিষয়ক দু’টি পৃথক মামলা করেছিলেন সোরেন। একটি ছিল গ্রেফতারির বিরুদ্ধে। অন্যটি ছিল জামিনের আবেদন জানিয়ে করা মামলা। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চে মামলাগুলি শুনানির জন্য ওঠে। বিচারপতিরা জানান, আদালতের কাছে তথ্য গোপন করেছেন সোরেনের আইনজীবীরা। তাই সোরেনের আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। এর পরেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন তাঁর আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অবরিন্দ কেজরীওয়ালকে গত ২০ জুন রাউস অ্যাভিনিউ আদালত জামিন দিলেও ইডির আবেদনের ভিত্তিতে দিল্লি হাই কোর্ট তা খারিজ করে দেয়। এর পর আদালতের নির্দেশে সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয় কেজরীকে। হেমন্তের জামিনের বিরুদ্ধেও তদন্তকারী সংস্থা ইডি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে বলে সূত্রের খবর। শীর্ষ আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিলে হেমন্তের মুক্তিও আটকে যেতে পারে বলে আইনজীবীদের একাংশের মত।