Pakistan

মা-মেয়েকে ঘরে বন্ধ করে ইটের পাঁচিল তুলে দিলেন আত্মীয়েরা, পাকিস্তানের হায়দরাবাদে আকবরি-বিধান

ঘটনাস্থল পাকিস্তান। তবে ‘শাস্তি’র ধরন মিলে যাচ্ছে ভারত সম্রাট আকবরের এক কুখ্যাত কাজের সঙ্গে। কথিত আছে, তিনিও তাঁর সভার নর্তকী আনারকলির উপর কুপিত হয়ে তাঁকে ‘জীবন্ত কবর’ দিয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫২
Share:

—ফাইল চিত্র।

মা এবং কিশোরী কন্যাকে ঘরে বন্ধ করে বাইরে ইটের দেওয়াল গেঁথে দিলেন আত্মীয়েরা। তাঁদের ‘অপরাধ’— সম্পত্তির ভাগ নিয়ে আত্মীয়দের দাবির সামনে তাঁরা মাথা নোয়াননি। ওই ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু প্রতিবেশী এবং পুলিশের উদ্যোগে দেওয়াল ভেঙে মুক্ত করা হয় দু’জনকেই।

Advertisement

ঘটনাস্থল পাকিস্তান। তবে ‘শাস্তি’র ধরন মিলে যাচ্ছে ভারত সম্রাট আকবরের এক কুখ্যাত কাজের সঙ্গে। কথিত আছে, তিনিও তাঁর সভার নর্তকী আনারকলির উপর কুপিত হয়ে তাঁকে ‘জীবন্ত কবর’ দিয়েছিলেন। পুত্র সেলিমের সঙ্গে আনারকলির প্রণয়ে বাধা দিতে আনারকলির ঘরের বাইরে দেওয়াল গেঁথে দিয়েছিলেন আকবর। কথিত, সেখানেই আনারকলির মৃত্যু হয়। যদিও পাকিস্তানের ওই মহিলা এবং তাঁর কন্যা বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন।

ওই মহিলা পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের শহর হায়দরাবাদের লতিফাবাদের বাসিন্দা। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের বন্দি করে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন যিনি, তিনি সম্পর্কে তাঁর ভাসুর। নাম সুহেল। বাড়ির দলিল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ওই মহিলা এবং তাঁর কন্যার উপর অত্যাচার চালাচ্ছিলেন তিনি। ওই মহিলার অভিযোগ, ঘটনার দিনও তাঁদের জোর করেই ওই ঘরে ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার আগে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বাড়ির দলিল। তাঁদের পক্ষে কাউকে ঘটনাটির কথা জানানো সম্ভবই হত না, যদি না প্রতিবেশীরা নিজে থেকে বিষয়টি খেয়াল করতেন।

Advertisement

এলাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার ফারুখ লিঞ্জর জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়েই তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং ওই মহিলা এবং তাঁর কন্যাকে উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওই মহিলার ভাসুর এবং তাঁর পুত্র। দু’জনকেই খুঁজছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement