চোপড়াকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম। সোমবার ইসলামপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
চোপড়ায় কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তার জবাব চাওয়া হল চোপড়া থানার ইনস্পেক্টর ইনচার্জের কাছে। সোমবার রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, চোপড়া থানার আইসিকে শোকজ়, অর্থাৎ কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। পাশাপাশিই, বিরোধীদের নিন্দা করে রাজ্য পুলিশ বলেছে, ‘‘গোটা ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার কূট প্রয়াস চালানো হচ্ছে।’’
চোপড়াকাণ্ডের জেরে রাজ্য প্রশাসনের উপর কেন্দ্রে এবং রাজ্যে ‘খড়্গহস্ত’ কেন্দ্রের শাসকগোষ্ঠীর নেতা এবং রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি। সেই সমালোচনার পাল্টা সোমবার রাজ্য পুলিশ সবিস্তার জানিয়েছে, চোপড়ার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর প্রশাসনের তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রাজ্য পুলিশ তাদের ‘সরকারি’ এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ধারাবাহিক দু’টি পোস্ট করেছে। তাতে তারা লিখেছে, ‘‘ইসলামপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত চোপড়া থানা এলাকায় এক মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনায় অনেকেই ভুল তথ্য সরবরাহ করছেন। কিন্তু আসল ঘটনাটি হল, ওই বিষয়ে জানার পরেই পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে এবং গ্রেফতার করে। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে। এমনকি, নির্যাতিতদের পুলিশি সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থাও করে। পাশাপাশি, চোপড়া থানার আইসি শোকজ়ও করা হয়েছে এই ঘটনায়।’’
চোপড়ার লক্ষ্মীপুরের তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলামের হাতে প্রণয়ী যুগলের অত্যাচারের ঘটনার একটি ভাইরাল ভিডিয়ো রবিবার প্রকাশ্যে আসে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজিমুল ওরফে জেসিবিকে। সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ পাঁচটি মামলা করলেও আপাতত আদালত তাজিমুলকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
(চোপড়ার ঘটনায় ধৃত তাজিমুলের নাম আমরা ‘তাজম্মুল’ লিখছিলাম। এফআইআরে তাঁর নাম ‘তাজিমুল’ বলে উল্লিখিত আছে। আমরা সেই নামই লিখছি)