তিন দিনের সফরে আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত।
তিন দিনের আমেরিকা সফরের জন্য রওনা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকায় গিয়ে তিনি চতুর্দেশীয় অক্ষের (কোয়াড) বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। বৈঠকে থাকবেন কোয়াডের অন্য সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানেরাও। শনিবার সকালে আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মোদী।
কোয়াডের সদস্য দেশের সংখ্যা চার। ভারত ছাড়াও কোয়াডে রয়েছে আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। এ বছর কোয়াডের চতুর্থ বৈঠক আয়োজন করেছে আমেরিকা। সে দেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে মোদী বলেছেন, ‘‘আমার সহকর্মী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিস এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সংহতি এবং অগ্রগতির কথা চিন্তা করে, এমন চার সমদর্শী দেশের সংগঠন হিসাবে কোয়াড উঠে এসেছে। বাইডেনের সঙ্গে আমার বৈঠকে আমেরিকা এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আমি আশা করছি।’’
নিজের শহর উইলমিংটনে কোয়াডের বৈঠক আয়োজন করেছেন বাইডেন। ওই বৈঠক ছাড়াও আমেরিকায় তিন দিনে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মোদীর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমেরিকায় ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। সেই সঙ্গে সে দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও দেখা হবে আমার। তাঁরাই দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কে স্বচ্ছতা প্রদান করেন।’’
উল্লেখ্য, আগামী নভেম্বরেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ডেমোক্রাটিক দলের তরফে এ বছর প্রার্থী হয়েছেন আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। অন্য দিকে, রিপাবলিকান প্রার্থী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার এমন একটি রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণের মুখে মোদীর সফরের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। তাঁদের মতে, আমেরিকায় গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে শান্তি প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় থাকবেন মোদী। সেই সঙ্গে পশ্চিম এবং মধ্য এশিয়ার সংঘাত নিরসনের বিষয়েও তিনি আলোচনা করতে পারেন। কোয়াডের বৈঠকে অন্যতম গুরুত্ব হয়ে উঠতে পারে সমুদ্রে চিনের আধিপত্যের মোকাবিলার প্রসঙ্গটি। সব মিলিয়ে মোদীর ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বরের আমেরিকা সফরকে গুরুত্ব সহকারেই দেখছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা।