পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
পাশা উল্টে দিল পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়। বৃহস্পতিবার রাতে পাক শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রায় দিয়েছে, আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। এর পরেই নতুন করে শুরু হয়েছে ‘পাটিগণিতের’ হিসেব-নিকেশের পালা। যদিও গত রবিবারের অধিবেশনের গতিপ্রকৃতি বলছে, বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটির ‘ম্যাচ’ জেতা পাক ক্রিকেটার-রাজনীতিকের পক্ষে কার্যত অসম্ভব।
৩৪২ আসনের পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ‘জাদু সংখ্যা’ ১৭২। গত রবিবার ১৯৭ জন সদস্য ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করা সত্বেও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি ‘বিদেশি চক্রান্তের’ অজুহাত দিয়ে ভোটাভুটি করাননি। এর পর প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সুপারিশে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। বৃহস্পতিবার পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ঐকমত্যের ভিত্তিতে দু’টি সিদ্ধান্তই অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে। ফলে ভোটাভুটি কার্যত অনিবার্য হয়ে পড়েছে। আর ইমরান সরকার যে গরিষ্ঠতা হারিয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে গত রবিবারের অধিবেশনেই।
সরকার এবি বিরোধী পক্ষের সুপারিশ পেয়ে প্রেসিডেন্ট আলভি নয়া তদারকি প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন করে তিন মাসের মধ্যে ভোট করানোর যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন, পাক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে তা-ও হিমঘরে চলে গেল বলে মনে করছেন সে দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞেরা। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্টের চিঠি পাওয়ার পরে তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের নাম সুপারিশ করেছিল ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। অন্য দিকে, তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সদ্য অবসর নেওয়া বিচারপতি মকবুল বকরের নাম সুপারিশ করল পাকিস্তানের বিরোধী জোট।