আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েল্সকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখার আর্জি নিয়ে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই মামলায় ইতিমধ্যে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ম্যানহাটনের আদালত। আগামী শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) তাঁর সাজা ঘোষণার কথা রয়েছে। তার আগে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের আবেদন জানালেন ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কের আদালতে শুক্রবার সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখার নির্দেশ চেয়ে মামলা করেছেন তিনি।
আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের কথা রয়েছে তাঁর। সাজা ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এর আগে নিউ ইয়র্কের আদালতে আবেদন জানান ট্রাম্পের আইনজীবীরা। তবে তাতে রাজি হয়নি আদালত। এই অবস্থায় বুধবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা।
পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পকে নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে। ট্রাম্প যখন ২০১৭ সালে প্রথম বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন, তারও আগে এই বিতর্কের সূত্রপাত। স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময়ে তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে ওই ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রথমে ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন ওই পর্ন তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন। পরে কোহেনকে সেই অর্থ মেটাতে গিয়ে ব্যবসায়িক নথি জাল করার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। যদিও বার বারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প।
এই মামলায় ম্যানহাটনের আদালত আগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখে আদালত। পরে নির্বাচনে জয়ের পর মামলা প্রত্যাহারের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন হবু প্রেসিডেন্ট। তাঁর আইনজীবীরা আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের কথা তুলে ধরেছিলেন ম্যানহ্যাটনের আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ অনুসারে, আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের ‘অফিশিয়াল’ কাজকর্মের আইনি রক্ষাকবচের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটি এই মামলায় ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন ম্যানহাটন আদালতের বিচারক। সংবাদ সংস্থা সিএনএন অনুসারে বিচারক জুয়ান মার্চেন সেই সময় জানিয়েছিলেন, এই মামলার ক্ষেত্রে কাজটি সম্পূর্ণ ‘আনঅফিশিয়াল’ এবং এ ক্ষেত্রে ‘কোনও রক্ষাকবচ নেই’।