সুস্বাদু মিষ্টি আম খেতে কার না ভাল লাগে! আর খেতে বসে যদি দেখা যায় আমে তেমন মিষ্টি নেই, মন খারাপ তো বাঁধা।
তা হলে এক বার ডায়াবেটিকদের কথা ভাবুন তো! তাঁরা তো মিষ্টি হওয়ার জন্য আমই খেতে পারেন না। তাঁদের কথা ভেবে যদি মিষ্টিহীন আম বাজারে আসে!
শুনতে একটু অদ্ভুত লাগছে তো! ডায়াবেটিকদের কথা ভেবে এ রকম মিষ্টিহীন আমই বাজারে এল।
এর পুরো কৃতিত্বের অধিকারী পাকিস্তানের এক আম বিশেষজ্ঞ। তিনিই এ রকম আম বাজারে এনেছেন। তিনি গুলাম সারওয়ার।
পাকিস্তানের এম এইচ পানওয়ার ফার্মের আম বিশেষজ্ঞ তিনি। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই মিষ্টিহীন আম তৈরি করেছেন তিনি।
তাঁর মতে, আমে মিষ্টির পরিমাণ খুব বেশি থাকে। চৌসা, সিন্ধ্রি আমে যথাক্রমে ১২ এবং ১৫ শতাংশ মিষ্টি থাকে। এই পরিমাণ মিষ্টি একজন ডায়াবেটিকের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।
গুলাম এমন আম তৈরি করেছেন যাতে মিষ্টির পরিমাণ মাত্র ৪ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।
গুলাম জানিয়েছেন, তিনি ৩ প্রজাতির আমের উপর এই পরীক্ষা চালিয়েছেন। ওই ৩ প্রজাতি হল সোনারো, গ্লেন এবং কেইট।
তাঁর গবেষণার ফলে সোনারোতে মিষ্টির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫.৬ শতাংশ, গ্লেনে ৬ শতাংশ। কেইটে মিষ্টির পরিমাণ সবচেয়ে কম, ৪.৭ শতাংশ।
আমের মধ্যে মিষ্টি নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল খোলাসা করেননি গুলাম। তবে তিনি জানিয়েছেন, লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য বছরের পর বছর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে।
এম এইচ পানওয়ার ছিলেন গুলামের নিকটাত্মীয়। আম, কলার মতো নানা ফলের উপর গবেষণা করেছেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুর পর গুলামই তাঁর স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। গুলাম মূলত আম নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। মিষ্টিহীন আমের পাশাপাশি দীর্ঘ দিন আমকে কী ভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যায় তা নিয়েও গবেষণা চালাচ্ছেন তিনি।
পাকিস্তানের বাজারে বিক্রির ছাড়পত্রও পেয়ে গিয়েছে এই মিষ্টিহীন আম। যার দাম নির্ধারিত হয়েছে প্রতি কিলো ১৫০ টাকা।