ICC Test Bowlers Rankings

তালিকায় নেই পাকিস্তান, শেষ ১৫ বছরে ১৪ বার বর্ষসেরা টেস্ট বোলার তিন দেশ থেকে! ভারত কোথায়?

আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট বোলারদের গত ১৫ বছরের তালিকায় নাম নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, পাকিস্তান অথবা নিউ জ়িল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটারের। ইংল্যান্ড থেকে জায়গা পেয়েছেন মাত্র এক জন। সেখানে দাপট দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৫১
Share:
০১ ১৮

চলতি বছরে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহ। ৯০৪ পয়েন্ট পেয়ে আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট বোলার হয়েছেন তিনি। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে তাঁর শিকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৭। পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র ২৭ রানে ছ’উইকেটই এই ফরম্যাটে তাঁর সেরা বোলিং। টেস্ট ক্রিকেটে বুমরাহ ইনিংসে পাঁচ উইকেটে পেয়েছেন ১২ বার। তাঁর বোলিং গড় মাত্র ১৯.৫২।

০২ ১৮

পাঁচ দিনের ক্রিকেটে দীর্ঘ দিন ধরেই বছরের সেরা বোলারের নাম ঘোষণা করে আসছে আইসিসি। ব্যাট-বলের খেলাটির বিশ্ব নিয়ামক সংস্থার ১৫ বছরের তালিকায় চোখ রাখলে নজরে আসবে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটা সময়ে বোলিং আক্রমণের নিরিখে ‘বিশ্ব ত্রাস’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কোনও খেলোয়াড়ের নাম নেই সেখানে।

Advertisement
০৩ ১৮

শুধু তাই নয়, গত দেড় দশকে বর্ষসেরা টেস্ট বোলার হতে পারেননি পাকিস্তান বা নিউ জ়িল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটারও। পেস বোলিংয়ে রিভার্স সুইংয়ের শুরুটা হয়েছিল ইমরান খান বা ওয়াসিম আক্রমের মতো পাক খেলোয়াড়ের হাত ধরে। ম্যাচের রং বদলানো দ্রুত গতির একের পর এক বোলার একটা সময়ে খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। ‘থ্রি লায়নস্’দের থেকে গত ১৫ বছরে মাত্র এক জন ক্রিকেটার আইসিসির বর্ষসেরা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন।

০৪ ১৮

আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট বোলারদের দেড় দশকের তালিকায় সবচেয়ে সফল পেসারের নাম ডেল স্টেন। মোট চার বার এই খেতাব পেয়েছেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা তিন বছর স্টেনকেই বর্ষসেরা টেস্ট বোলার বেছে নিয়েছিল আইসিসি। ২০১৪ সালে শেষ বার এই সম্মান পান দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার।

০৫ ১৮

২০১০ সালে বর্ষসেরার খেতাব দেওয়ার সময়ে স্টেনকে ৮৯৭ পয়েন্ট দিয়েছিল আইসিসি। ঠিক তার পরের বছর সেই রেকর্ড নিজেই ভেঙে নেন এই প্রোটিয়া পেসার। ৮৯৮ পয়েন্ট নিয়ে বর্ষসেরা হন তিনি। ২০১২ সালে অবশ্য কিছুটা পয়েন্ট কমেছিল তাঁর। ওই বছর ৮৮০ পয়েন্ট পেয়ে বর্ষসেরার খেতাব পান স্টেন।

০৬ ১৮

ডানহাতি পেসার স্টেনের জন্ম ১৯৮৩ সালে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বছরই প্রথম বার এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর। প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন তিনি।

০৭ ১৮

ক্রিকেট জীবনে মোট ৯৩টি টেস্ট খেলেছেন স্টেন। এই ফরম্যাটে প্রোটিয়া পেসারের সংগ্রহ ৪৩৯ উইকেট। গড় মাত্র ২২.৯৫। মোট ২৬ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে আইসিসির বর্ষসেরা বোলার নির্বাচিত হওয়ার সময়ে তাঁর প্রাপ্ত পয়েন্ট ছিল ৯০৬।

০৮ ১৮

এই তালিকায় স্টেনের পাশেই রয়েছে এক দিনের বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান টেস্ট ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সের নাম। প্রোটিয়া পেসারের মতো তিনিও চার বার আইসিসির বর্ষসেরা বোলারের খেতাব পেয়েছেন। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা চার বার এক নম্বর স্থানটি ধরে রেখেছিলেন ক্যাঙারু বাহিনীদের এই জোরে বোলার।

০৯ ১৮

২০১৯ সালে প্রথম বার আইসিসির বর্ষসেরা খেতাব পাওয়ার সময়ে কামিন্সের ঝুলিতে ছিল ৯০২ পয়েন্ট। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টেস্ট কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। মোট ৬৪ টেস্টে তাঁর শিকার ২৭৯ উইকেট। কামিন্সের সেরা বোলিং ২৩ রানে ছ’উইকেট। মোট ১৩ বার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন এই অসি পেসার।

১০ ১৮

চলতি বছরের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ডানহাতি ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পর পর দু’বছর এবং ২০২৩ সালে তামিলনাড়ুর এই ঘূর্ণি বোলারকে পাঁচ দিনের ফরম্যাটে বর্ষসেরা বোলার হিসাবে বেছে নিয়েছিল আইসিসি। প্রথম দু’বার ৮৭১ ও ৮৮৭ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষস্থানে উঠেছিলেন তিনি।

১১ ১৮

২০১১ সালের দেশের হয়ে পাঁচ দিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয় অশ্বিনের। প্রথম ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সঙ্গে খেলেছিলেন তিনি। মোট ১০৫টি টেস্ট খেলেছেন চেন্নাইয়ের পেসার। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ৫৩৭ উইকেট। ইনিংসে পাঁচ উইকেটে পেয়েছেন ৩৭ বার। টেস্টে অশ্বিনের সেরা বোলিং ৫৯/৭। তাঁর বোলিং গড় আবার ২৩.৯৫।

১২ ১৮

আবার স্টেনের থেকে বেশি পয়েন্ট পেয়ে আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট বোলার হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার ভার্নন ফিল্যান্ডার। ২০১৩ সালে ৯০৯ পয়েন্ট পান তিনি। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর। পাঁচ দিনের ক্রিকেটকে ফিল্যান্ডার বিদায় জানান ২০২০ সালে। কিট ব্যাগ গুছিয়ে রাখার আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।

১৩ ১৮

মোট ৬৪টি টেস্ট খেলা প্রোটিয়া পেসার ফিল্যান্ডারের শিকার ২২৪ উইকেট। মোট ১৩ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেটে পেয়েছেন তিনি। তাঁর বোলিং গড় ছিল ২২.৩২। টেস্টে ২১/৬ ছিল তাঁর সেরা বোলিং। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর বর্তমানে ক্রিকেট প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন এই প্রোটিয়া পেসার।

১৪ ১৮

ইংরেজ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন আইসিসির টেস্ট বর্ষসেরা বোলারের খেতাব পান ২০১৭ সালে। ওই বছর সবাইকে পিছনে ফেলে ৮৯২ পয়েন্ট পেয়েছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ২০০৩ সালে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর।

১৫ ১৮

ইংল্যান্ডের হয়ে মোট ১৮৮টি টেস্ট খেলেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। পাঁচ দিনের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে উইকেট পেয়েছেন ৭০৪। টেস্টে তাঁর বোলিং গড় ২৬.৪৫। মোট ৩২ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেটে পেয়েছেন তিনি। ৪২/৭ হল তাঁর সেরা বোলিং।

১৬ ১৮

৮৮০ পয়েন্ট পেয়ে আইসিসির বর্ষসেরা হন আরও এক প্রোটিয়া পেসার। তিনি হলেন কাগিসো রাবাডা। সালটি ছিল ২০১৮। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে মোট ৬৮টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ১১২/৭ টেস্টে এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা বোলিং।

১৭ ১৮

২০১৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলেন রাবাডা। পাঁচ দিনের ফরম্যাটে তাঁর শিকার ৩১৯। প্রোটিয়া পেসারের বর্তমান বোলিং গড় ২১.৭০। ইনিংসে মোট ১৬ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

১৮ ১৮

সব মিলিয়ে গত ১৫ বছরে আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট বোলারের তালিকায় ছ’বার জায়গা পেয়েছেন প্রোটিয়া পেসারেরা। চার বার অস্ট্রেলিয়া এবং এক বার ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারকে এই সম্মান দিয়েছে আইসিসি। আর দুই খেলোয়াড় মিলিয়ে বর্ষসেরা টেস্ট বোলারের খেতাব ভারত পেয়েছে চার বার। তালিকায় স্পিনার হিসাবে একমাত্র নাম রয়েছে সদ্য ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এ দেশের অশ্বিনের।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement