ফাইল চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার পর পরই সরকারি খরচ কাটছাঁটের বিষয়ে নানা অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু তাতে সঙ্কট মেটেনি। দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে এ বার এক নতুন নীতি ঘোষণা করেছে ইমরান খান সরকার। আজই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ধনী বিদেশি নাগরিকেরা চাইলে পাকিস্তানে পাকাপাকি ভাবে থাকার (পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি) অনুমতি পেতে পারেন। তাঁরা এ দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে লগ্নিও করতে পারেন।
গত কাল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নতুন জাতীয় নিরাপত্তা নীতির ঘোষণা করেছেন। আর আজ সকালে পাক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধরি টুইট করে জানান, নতুন এই নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই অর্থনীতি সংক্রান্ত এই নতুন প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের অবশ্য বক্তব্য, সন্ত্রাস, অর্থনীতি-সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই দেশে বিদেশি ধনকুবেররা কতটা লগ্নি করবেন এবং আদৌ তাঁরা এ দেশে স্থায়ী ভাবে থাকতে আগ্রহী কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
তবে পাক সরকারের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, মূলত ধনী শিখ, চিনা ও আফগান নাগরিকদের কথা মাথায় রেখেই এই নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে সরকার। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, কানাডায় বসবাসকারী শিখেরা করতারপুর করিডরের মতো ধর্মীয় স্থানে লগ্নি করতে বরাবরই আগ্রহী। চিনের কিছু ধনী শিল্পপতিরও পাকিস্তানে নতুন প্রকল্প গড়তে আগ্রহ রয়েছে। আর তালিবান পরবর্তী যুগে যে সব ধনী আফগান নাগরিক তুরস্ক, মালয়েশিয়া বা অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। মন্ত্রী ফাওয়াদ বলেছেন, ‘‘এ এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম বার বিদেশি শিল্পপতিরা আবাসন শিল্পে লগ্নি করতে পারবেন।’’
গত মঙ্গলবারই পাক অভ্যন্তরীণ ও অর্থ মন্ত্রককে ক্যাবিনেট নির্দেশ দিয়েছিল, তারা যেন অবিলম্বে এমন কোনও নীতি আনে যেখানে বিদেশি নাগরিকেরা কোনও সমস্যা ছাড়াই এ দেশে লগ্নি করতে পারেন। তার ঠিক তিন দিনের মাথাতেই নতুন এই নীতির ঘোষণা করল সরকার।