পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
ভোটগ্রহণের পর প্রায় ৬০ ঘণ্টা কেটে গেলেও পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সব আসনে গণনা শেষ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু এলাকায় যান্ত্রিক গোলযোগ এবং ইন্টারনেট পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় গণনায় দেরি হচ্ছে। যদিও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির মতে, বৈদ্যুতিন ভোটিং মেশিন বা ইভিএম না থাকার কারণেই গণনায় এত বিলম্ব হচ্ছে।
শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে আলভি লেখেন, “আজ যদি ইভিএম থাকত, তবে আমার প্রিয় পাকিস্তান এই সঙ্কট থেকে মুক্ত হতে পারত।” পাকিস্তানের জনতা দীর্ঘ দিন ধরে যে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট করানোর দাবি তুলছেন, সেই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি।
আরিফ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সদস্য। শনিবার তিনি জানান, পিটিআই সরকার ইভিএম চালু করার উদ্যোগ নিলেও, কার্যক্ষেত্রে তা রূপায়িত হয়নি।
পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর তথ্য অনুযায়ী, পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৪টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা ৯৩টি, আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৩টি এবং বিলাবল ভুট্টোর দল পিপিপি ৫৪টি আসনে জিতেছে। অন্যান্যরা পেয়েছে ৩৩টি আসন। অন্য একটি সূত্র বলছে, পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা ১০২টি আসনে জয়ের মুখ দেখে ফেলেছেন। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়ার জন্য চাই আরও ৩১টি আসন। যা সম্ভব নয়। কারণ, আর গুটিকয়েক আসনে গণনা বাকি আছে।