শাহ মেহমুদ কুরেশি, পাক বিদেশমন্ত্রী। ফাইল চিত্র
শনিবারই কাবুল পৌঁছেছেন তালিবান নেতা মোল্লা বরাদর গনি। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাবুল যাচ্ছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। নতুন সরকার গঠন নিয়ে রাজধানী কাবুলে কুরেশির সঙ্গে তালিবান নেতৃত্বের বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। ১৫ অগাস্ট কাবুলের পতনের পর এই প্রথম কোনও রাষ্ট্রনেতা আফগানিস্তান সফরে আসছেন। আশরফ গনি পরবর্তী আফগানিস্তানে কুরেশির এই সফরকে অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী দিনে আফগানিস্তানের নয়া সরকারের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গতিবিধি কী হবে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে চায় ইমরান খানের দেশ। সেই প্রেক্ষিতে পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশির সফর গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন কুরেশি। খতিয়ে দেখবেন এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারে পাকিস্তান।
শনিবার এই মর্মে পাক বিদেশমন্ত্রী টেলিফোনে কথা বলেন জার্মানি, রাশিয়া, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়ামের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে কুরেশি জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল আফগানিস্তান পাকিস্তান-সহ এই অঞ্চলের সামগ্রিক শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্বিপাক্ষিক বার্তালাপে কোনও ফাঁক রাখতে চায় না পাকিস্তান। কুরেশির কাবুল সফরকে তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।