পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে আদালত আবার রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস এবং দেশের আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ রুজু হল। এর ফলে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ আরও কমে গেল ইমরানের পক্ষে।
বিশেষ আদালতের বিচারক আবদুল হাসনাত জুলকারনাইন আজ রাওয়ালপিন্ডির আদিলা কারাগারে তথ্য ফাঁসের মামলায় অভিযোগ সোপর্দের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। ওই কারাগারেই বন্দি রয়েছেন ইমরান ও কুরেশি। আদালতকক্ষে তাঁদের দু’জনের উপস্থিতিতেই অভিযোগগুলি পড়ে শোনান বিচারক। ইমরান এবং কুরেশি গত বছর মার্চ মাসে একটি কূটনৈতিক নথির গোপনীয়তা রক্ষা করতে অসমর্থ হন বলে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে পাক দূতাবাসের পাঠানো একটি গোপন কেব্ল তাঁরা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করে দেন বলে সরকার পক্ষের অভিযোগ। ওই কেব্ল প্রকাশ্যে এনে ইমরান দাবি করেছিলেন, পাক সামরিক বাহিনী আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর সরকার ফেলার চক্রান্ত করছে।
ইমরান এবং কুরেশি দু’জনেই আজ অবশ্য নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের ১৪ বছর কারাবাস, এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তথ্য ফাঁসের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হল ইমরানদের। এর আগে অক্টোবর মাসেও তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু প্রক্রিয়াগত দিক থেকে বেআইনি বলে হাই কোর্টে সেই মামলা খারিজ হয়। তার পরেই বিচারক জুলকারনাইন বিধি মোতাবেক নতুন করে অভিযোগ সোপর্দ করার নির্দেশ দেন। আপাতত ইমরান একটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।