প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফ। — ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে বড় স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) নেতা নওয়াজ শরিফ। মঙ্গলবার আল আজ়িজ়িয়া দুর্নীতি মামলা থেকে তাঁকে রেহাই দিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে গিয়েছিলেন শরিফ। চার বছর বিদেশে ‘নির্বাসন’ কাটিয়ে দেশে ফেরার দেড় মাসের মাথায় তিনটি মামলা থেকেই মুক্তি পেলেন তিনি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’র নির্বাচন। তার আগে সবগুলি মামলা থেকে শরিফের রেহাই তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের জল্পনা উস্কে দিল।
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর আল আজ়িজ়িয়া স্টিল দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ। তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন লাহোরের দুর্নীতি দমন আদালতের বিচারক আরশাদ মালিক। লাহোরের কোট লাখপত জেলেও কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, পানামা পেপারকাণ্ডে নাম জড়ানোয় ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গদিচ্যুত হয়েছিলেন নওয়াজ। পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, আজীবন দলের কোনও পদে থাকতে পারবেন না তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি লুকোনোর অভিযোগ ছিল। কিছু দিন কারাবাসের পরে সরকারি মধ্যস্থতায় লন্ডনে স্বেচ্ছানির্বাসনে গিয়েছিলেন তিনি।
চলতি বছর ‘সুপ্রিম কোর্ট রিভিউ অফ জাজমেন্টে অ্যান্ড অর্ডারস অ্যাক্ট ২০২৩’ বিলে স্বাক্ষর করেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। নয়া এই আইন নওয়াজের দেশে ফেরার রাস্তাকে প্রশস্ত করে। গত ২১ অক্টোবর দেশে ফেরার পরে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি এবং অ্যাভেনফিল্ড দুর্নীতি মামলা (লন্ডনে বেনামি সম্পত্তি মামলা। এতে ১০ বছর জেলের সাজা হয়েছিল শরিফের) থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। এ বার শেষ মামলা থেকেও রেহাই পেলেন তিনি।