imran khan

Imran khan: ইমরানের ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খারিজ সেনার

বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ হিসেবে ইমরান একটি হুমকি-চিঠির কথা বলেছিলেন, যা নিয়ে গত মাসে পাক জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আলোচনাও হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২২ ০৬:০৩
Share:

ইমরান খান। ফাইল চিত্র।

প্রধানমন্ত্রিত্বের শেষ লগ্নে ইমরান খান অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁকে সরাতে ষড়যন্ত্র করছে ‘বিদেশি শক্তি’। গত কালও পেশোয়ারের জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘‘ডাকাতদের ক্ষমতায় এনে আমেরিকা অপমান করেছে পাকিস্তানকে।’’ কিন্তু তাঁর সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব আজ কার্যত খারিজই করেছে পাক সেনা। অন্য দিকে, নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফকে অভিনন্দন জানিয়ে আমেরিকা বলেছে, দীর্ঘস্থায়ী পারস্পরিক সহযোগিতাই তারা আশা করছে নতুন সরকারের কাছে।

Advertisement

বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ হিসেবে ইমরান একটি হুমকি-চিঠির কথা বলেছিলেন, যা নিয়ে গত মাসে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আলোচনাও হয়েছিল। আজ সেই প্রসঙ্গে পাক সেনার জনসংযোগ শাখা আইএসপিআরের ডিজি বাবর ইফতিকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সেনার অবস্থানের কথাই যদি ওঠে, ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত তো (সে দিনের) বিবৃতিতে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছিল। ওখানে ‘ষড়যন্ত্র’ শব্দটা ছিল কি? আমার মনে হয় ছিল না। আইএসআই ওই চিঠি নিয়ে তদন্ত করে তাদের মতামত নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়ে দিয়েছিল। কোনও বিদেশি শক্তি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে চাইলে সফল হবে না।’’

গত কাল পেশোয়ারে ইমরান অভিযোগ করেন, তিনি সরে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি উল্লসিত ভারত এবং ইজ়রায়েল। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সঙ্কটে সেনা যে নিজে থেকে সক্রিয় হয়নি, তা বুঝিয়ে বাবর বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীই জটমুক্তিতে সেনার সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্ব আলোচনায় রাজি ছিলেন না। ফলে সেনাপ্রধান ও আইএসআই প্রধান প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে তিনটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছিলেন— আস্থা ভোট, প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা এবং অনাস্থা প্রত্যাহার করে আইনসভা ভেঙে দেওয়া। আইএসপিআরের ডিজি এ দিন দাবি করেন, পাক সেনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যতেও রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ থাকবে সেনা। বর্তমান সেনাপ্রধান ২৯ নভেম্বর অবসর নেবেন। কোনও অবস্থাতেই তিনি নিজের কার্যকালের মেয়াদ বাড়াবেন না।

Advertisement

এর আগে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কার্বি দু’দেশের সেনাবাহিনীর ‘সুসম্পর্কের’ কথা বলেছিলেন। আর গত কাল আমেরিকান বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘‘প্রায় ৭৫ বছর ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তান আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। দু’দেশের স্বার্থেই সমৃদ্ধ, শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’’ পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতর পাল্টা টুইটে বলেছে, ‘‘এলাকায় শান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়নের স্বার্থে আমেরিকার সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায় নতুন সরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement