Titan

২০১৯ সালের বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরেন, টাইটানে সমুদ্র অভিযানে মৃত্যু হল পাক ধনকুবেরের

অতলান্তিকের গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সলিলসমাধি হয়েছে শাহজাদা এবং তাঁর ১৯ বছরের পুত্র সুলেমানের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৩ ১৫:২৬
Share:

পাক-বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ধনকুবের শাহজাদা এবং তাঁর পুত্র সুলেমান (বাঁ দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা থেকে বরাতজোরে বেঁচে ফিরলেও এ বার আর সেই সৌভাগ্য হল না পাক-বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ধনকুবের ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদের। অতলান্তিকের গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সলিলসমাধি হয়েছে শাহজাদা এবং তাঁর ১৯ বছরের পুত্র সুলেমানের।

Advertisement

ডুবোযান টাইটানে পাইলট-সহ যে পাঁচ জন ছিলেন তাঁদের মধ্যে শাহজাদা এবং তাঁর পুত্রও ছিলেন। শাহজাদার স্ত্রী ক্রিস্টিন এক ব্লগে জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালে এক বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে ফিরেছিলেন শাহজাদা। টাইটান দুর্ঘটনার পর সেই ব্লগ নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

ওই ব্লগে ক্রিস্টিন জানিয়েছেন, তাঁরা যে বিমানে সপরিবার উঠেছিলেন, সেটি মাঝ আকাশ থেকে গোত্তা খেয়ে নীচের দিকে নেমে আসছিল। সে এক ভয়ানক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছিলেন তিনি এবং শাহজাদা। ক্রিস্টিন আরও জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী নানা রকম অ্যাডভেঞ্চার অভিযানে বহু বার গিয়েছেন। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে রুদ্ধশ্বাস অভিযানে যাওয়া মানুষটিও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। পরে ক্রিস্টিনকে শাহজাদা জানিয়েছিলেন যে, ওই মুহূর্তেও তাঁর আফসোস হচ্ছিল যে, বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে, তাঁর অনেক অভিযানই অপূর্ণ থেকে যাবে। তবে বিমানটি কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছিল সেটি তাঁর ব্লগে উল্লেখ করেননি ক্রিস্টিন।

Advertisement

তবে টাইটানিক অভিযানের বিষয়টি নিয়ে অত্যুৎসাহী ছিলেন শাহজাদা। পুত্র সুলেমানের কল্পবিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ থাকায় শাহজাদা তাঁকেও এই অভিযানে নিয়ে যাওয়ায় আগ্রহী ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বোন আজমে দাউদ। এনবিসি নিউজ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজমে জানান, ‘ফাদার্স ডে’র উপহার দিতে পুত্র সুলেমানকে এই অভিযানে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন শাহজাদা। কিন্তু সুলেমান এই অভিযানে যেতে ইচ্ছুক ছিলেন না। কিন্তু বাবাকে খুশি করতেই এই অভিযানে যান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement