দাবানলে পুড়ছে জঙ্গল। ঘন ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের স্পার্কস লেক এলাকায়। ছবি রয়টার্স।
জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে মরুশহরের তাপমাত্রাকেও টেক্কা দিচ্ছে শীতল আবহাওয়ার দেশ কানাডা। সেখানকার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে তাপমাত্রার পারদ। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত শুক্রবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে সেখানে তাপপ্রবাহের জেরে কমপক্ষে ২৩০ জন বাসিন্দা প্রাণ হারিয়েছেন। ভ্যাঙ্কুভারেও কমপক্ষে ৬৯ জনের প্রাণ কেড়েছে এই নজিরবিহীন আবহাওয়া। তাপমাত্রার কারণেই ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দাবানলও ছড়িয়ে পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
ভ্যাঙ্কুভারে অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক। বাকিদের কোনও না কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। মঙ্গলবারও ভ্যাঙ্কুভারের পাশাপাশি লিটন, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া-সহ একাধিক জায়গার তাপমাত্রা ছিল ৪৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই নিয়ে টানা চার দিন। এই ‘বিরল সপ্তাহের’ আগে কানাডায় শেষ কবে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা উঠেছিল মনে করতে পারছেন না প্রশাসনের কর্তারাও। তবে এই ৪৫ ডিগ্রিও কয়েক দশক আগের রেকর্ড। তবে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা নামার কোনও আভাস নেই বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং আলবার্টার পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং ইউকনের বহু জায়গায় জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা।
বাড়তে থাকা তাপমাত্রার জেরে তৈরি হওয়া সঙ্কট মোকাবিলায় যেমন বাসিন্দারা প্রস্তুত ছিলেন না, প্রস্তুতি ছিল না সরকারেরও। যে কারণে সমস্যা আরও বেড়েছে বলেই দাবি প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের। এই পরিস্থিতির মধ্যে একাধিক কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। আপাতত বন্ধ রাখতে হচ্ছে স্কুলগুলিও।