Suchir Balaji Death

মাথায় আঘাত, ধস্তাধস্তির চিহ্ন শরীরে! ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষকের মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়

নিজের প্রাক্তন সংস্থার বিরুদ্ধে ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষকের মূল অভিযোগ ছিল, ইন্টারনেটের কপিরাইট আইন ভাঙছে ওপেনএআই। তার পর পরই ওই গবেষকের মৃত্যু হয়। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫১
Share:

মৃত ভারতীয় বংশোদ্ভূত এআই গবেষক সুচির বালাজি। —ফাইল চিত্র।

ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এআই গবেষক সুচির বালাজির মৃত্যু রহস্যের জট এখনও কাটেনি। স্যান ফ্রান্সিস্কোর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর দেহ। প্রথমে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হয়েছিল। যদিও সুচির বাবা-মা প্রথম থেকেই খুনের অভিযোগ তুলেছেন। এ বার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নাকি তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করলেন তাঁরা। সুচির বাবা-মায়ের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে মিলেছে ধস্তাধস্তি করার চিহ্নও!

Advertisement

ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম সুচির। সেখানেই বেড়ে ওঠা। পড়াশোনা শেষ করে চ্যাটজিপিটির স্রষ্টা সংস্থা ওপেনএআই-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। পরে ওই সংস্থা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। ওপেনএআই ইন্টারনেটের ক্ষতি করছে বলেও দাবি করেছিলেন সুচির। তার পর পরই সুচির মৃত্যুর কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। ওপেনএআই সংস্থার ‘কালো দিক’ প্রকাশ করার কারণেই কি খুন হতে হয়েছে সুচিকে? উঠছে প্রশ্ন।

সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র সঙ্গে কথা বলার সময় সুচির মা পূর্ণিমা রাও বলেন, ‘‘আমরা দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পড়েছি। সেখানে মাথায় আঘাতের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। মৃত্যুর সময় ধস্তাধস্তি হয়েছে তা জানা গিয়েছে। এই সব থেকে বোঝাই যায় আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।’’ একই সঙ্গে সুচির সঙ্গে শেষ কথোপকথনের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন সুচির বাবা রামমূর্তি। তিনি জানান, সুচি যখন লস এঞ্জেলেসে বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করে ফিরছিলেন, তখন খুবই হাসিখুশি ছিলেন। আবার জানুয়ারিতে লস এঞ্জেলেসে যাবেন বলেও জানান। ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন সুচির বাবা-মা।

Advertisement

নিজের প্রাক্তন সংস্থার বিরুদ্ধে সুচিরের মূল অভিযোগ ছিল, ইন্টারনেটের কপিরাইট আইন ভাঙছে ওপেনএআই। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন চ্যাটজিপিটি। এই চ্যাটজিপিটি বাজারে এনেছে ওপেনএআই সংস্থা। সুচিরের অভিযোগ, সংস্থার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বিভিন্ন মডেলকে ভুল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কপিরাইট থাকা উপাদানে না বলে হস্তক্ষেপ করছে ওপেনএআই। সেই উপাদান ব্যবহার করে এআই মডেলগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই পদ্ধতিকে ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছিলেন সুচির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement