— ছবি সংগৃহীত
ঠিক যেন বিভূতিভুষণের ‘চাঁদের পাহাড়’ উপন্যাসের মতো এক দৃশ্য। আলাস্কার বিস্তীর্ণ বনভূমিতে একা পর্যটক। ভাঙাচোরা ক্যাম্পে প্রায় গুলি ফুরিয়ে আসা বন্দুক হাতে তার কাটছে নির্ঘুম রাত। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনও উপায় নেই। ক্যাম্পের নড়বড়ে দরজাটার ঠিক ওপারেই প্রতি রাতে হানা দেয় সাক্ষাৎ মৃত্যু... প্রমাণ সাইজের একটি ভালুক। আর তা যে সে ভালুক নয়, আলাস্কা অঞ্চলের কুখ্যাত বাদামি ভালুক বা ‘গ্রিজ়লি বিয়ার’!
শুক্রবার ঠিক এই অবস্থাতেই পশ্চিম আলাস্কার উপকূলে নোম শহরের কাছের বনাঞ্চল থেকে এক জনকে উদ্ধার করল উপকূলরক্ষী বাহিনী। শুক্রবার নিয়মমাফিক ওই অঞ্চলের উপর চক্কর কাটছিল উপকূলরক্ষীর হেলিকপ্টার, হঠাৎ-ই জঙ্গলের মধ্যে ভাঙাচোরা একটি ক্যাম্পের চালের উপর এলোমেলো অক্ষরে লেখা ‘এসওএস’ কথাটি তাঁরা দেখতে পান। সঙ্গে-সঙ্গেই হেলিকপ্টার নামানোর ব্যবস্থা করা হয়। ততক্ষণে ক্যাম্প থেকে খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে বেরিয়ে সাদা পতাকা সমেত দু’হাত তুলে দাঁড়িয়ে পড়েছেন ওই ব্যক্তি।
ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ না করেই বাহিনীর মুখপাত্র জানান, ওই ব্যক্তি সম্ভবত নোম শহরেরই বাসিন্দা। তাঁকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তাঁর বন্দুকে মাত্র দুই রাউন্ড গুলি বাকি ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে পরিত্যক্ত ক্যাম্পটিতে আটকে পড়েছিলেন। সে রকম খাদ্য ও পানীয়ও ছিল না সঙ্গে। এই এক সপ্তাহে প্রতি রাতে ভালুকটি তাঁকে মারার চেষ্টা করে গিয়েছে। এমনকি এক বার তাঁর পা কামড়েও ধরেছিল। আপাতত নোম শহরের একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।