এই উপমহাদেশে ভারতের ‘ঘোড়া’কে আটকাতে পাকিস্তানকে ‘বোড়ে’ হিসেবে এগিয়ে দিল চিন!
যে ‘বোড়ে খাওয়া গেলেও’ বেজিঙের তেমন ক্ষতি নেই!
আর সেটা হল আমেরিকার মতো ‘রাজা’ ভারতের দাবিতে রাজি থাকার পরেও।
পরিস্থিতি যা, তাতে ভারতের পক্ষে আপাতত ‘নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ’ (এনএসজি)-এর সদস্যপদ পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ভারতকে আটকাতে চিন যুক্তি দিয়েছে, ‘‘ভারতকে সদস্য করতে হলে, এই উপমহাদেশে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে পাকিস্তানকেও সদস্য করতে হয়।’’
কূটনীতিকদের বক্তব্য, জঙ্গি কার্যকলাপে সরাসরি বা পরোক্ষে মদত দেওয়ার জন্য আমেরিকা সহ ৪২ সদস্যের এনএসজি-র বেশির ভাগ দেশই অতীতে ইসলামাবাদের সমালোচনায় সরব হয়েছে বহু বার। তাই পাকিস্তানকে এনএসজি-তে আনার ব্যাপারে যে সদস্য দেশগুলো যে রাজি হবে না, তা নিয়ে বেজিঙের কোনও কালেই কোনও সংশয় ছিল না। এখনও নেই। তবু ‘বোড়ে’ হিসেবে বেজিং পাকিস্তানকে এগিয়ে দিল ভারতকে আটকাতেই।
আরও পড়ুন- ভারতের অ্যান্টি-মিসাইল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল পাকিস্তান
এনএসজি-র সদস্য হতে পারলে, সর্বাধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র, প্রযুক্তি ও সেই অস্ত্র তৈরির রসদ অন্য দেশগুলি থেকে পেতে ভারতের সুবিধা হত। সেই উদ্দেশেই ভারত দীর্ঘ দিন ধরে এনএসজি-র সদস্যপদ পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।
এ বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওয়াশিংটন সফরের সময়েই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আশ্বাস দেন, এনএসজি-র সদস্যপদ পাওয়ার জন্য ভারতের দাবিকে আমেরিকা সমর্থনই জানাবে।
ভারতকে যাতে তড়িঘড়ি এনএসজি-র সদস্যপদ দেওয়া না হয়, তার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে ইসলামাবাদও। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী সরতাজ আজিজ টেলিফোন করেন রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এনএসজি-র শক্তিশালী দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের। সরতাজ তাঁদের বলেন, ভারতকে এনএসজি-র সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে ওই দু’টি দেশ যদি সম্মতি জানায়, তা হলে তা পাকিস্তানের স্বার্থের পরিপন্থী হবে। ভারতকে পক্ষপাত দেখানো হবে।