Kim Jong Un

পরমাণু শক্তিধরই থাকব, জানিয়ে দিল কিমের দেশ

পিয়ংইয়্যাংকে পারমাণবিক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চাপ দেওয়ায় আমেরিকা-সহ বাকি জি৭ সদস্য দেশগুলির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন হুই। এক সময়ে আমেরিকার হুমকির হাত থেকে বাঁচতেই এই পথ বাছতে বাধ্য হয়েছিল পিয়ংইয়্যাং।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পিয়ংইয়্যাং শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:০৬
Share:

ঘনঘন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষণ নিয়ে জি৭ বৈঠকে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে এই ভাবেই গর্জে উঠল কিম জং উনের দেশ। ফাইল ছবি।

পরমাণু অস্ত্রধর দেশ হিসেবে নিজেদের যে পরিচয় উত্তর কোরিয়া তৈরি করেছে তা ‘চূড়ান্ত ও অপরিবর্তনীয়’। ঘনঘন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষণ নিয়ে জি৭ বৈঠকে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে এই ভাবেই গর্জে উঠল কিম জং উনের দেশ।

Advertisement

সম্প্রতি জি৭ বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন। যেখানে গত ১৩ এপ্রিল একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা-সহ বেআইনি ভাবে ঘনঘন বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়াকে সরাসরি নিশানা করেন তাঁরা। যার জবাবে আজ উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী চো সন হুই বলেন, তাঁর দেশ পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবেই থাকবে। এই‘বাস্তব’ অপরিবর্তনীয়।

পিয়ংইয়্যাংকে পারমাণবিক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চাপ দেওয়ায় আমেরিকা-সহ বাকি জি৭ সদস্য দেশগুলির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন হুই। তাঁর বক্তব্য, এক সময়ে আমেরিকার হুমকির হাত থেকে বাঁচতেই এই পথ বাছতে বাধ্য হয়েছিল পিয়ংইয়্যাং। দেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হুইয়ের হুঙ্কার, ‘‘নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ বার উত্তর কোরিয়ার প্রতি শত্রুতাপূর্ণ নীতিতে বিরতি আনার কথা ভাবুক আমেরিকা। এটা ভুল ধারণা যে পরমাণু হামলা চালানোর অধিকার এবং ক্ষমতা একমাত্র ওয়াশিংটনেরই আছে।’’ সঙ্গে জি৭-এ অংশগ্রহণকারী দেশগুলিকে নিশানা করে তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘যত দিন আমেরিকার পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আমাদের আছে আমরা কারও স্বীকৃতি বা অনুমোদনের তোয়াক্কা করি না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement